মণ্ডপে ‘নো এন্ট্রি’ দর্শকদের , দুটি ডোজেও মিলবে না ছাড়, কালীপুজোতেও জারি নিষেধাজ্ঞা
দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও (Kali Puja) মণ্ডপে প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে বিধিনিষেধ। শহরে এই কয়েকটা দিন রাতের বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাই ভিড় বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবারই নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
মণ্ডপে থাকবে নো-এন্ট্রি জ়োন, করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া থাকলেও অবাধ প্রবেশের অনুমতি মিলবে না। জগদ্ধাত্রী পুজো, কার্তিক পুজোর জন্যও একই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কালীপুজো ও দীপাবলির রাতে মণ্ডপ ও রাস্তাঘাটে ভিড় নিয়ন্ত্রণের কড়া ব্যবস্থা রাখার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার দুপুরে সেই মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, ভিড় সামলানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে রাজ্যকেই।
আরও পড়ুন : আবহাওয়ার খবর: কালীপুজো ও ভাইফোঁটায় বাংলার ওয়েদার আপডেট
দুর্গাপুজোর মতোই বিধিনিষেধ থাকবে, কড়া হতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, মণ্ডপের বাইরে ভিড়, ধাক্কাধাক্কি করা চলবে না। বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে ৬০ জন এবং ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে ৪৫ জন দর্শনার্থী মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন। মাস্ক ও সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বাধ্যতামূলক। কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলেই মণ্ডপে অবাধে প্রবেশ করা যাবে না। বরং ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরি সবরকম পদক্ষেপ করতে হবে উদ্যোক্তাদের।
কোভিড বিধি মেনে এবার দুর্গাপুজোর অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। মণ্ডপে নো এন্ট্রি’ বহাল রাখার কথাও জানানো হয়েছিল আদালতে। পুজো মণ্ডপে শর্তসাপেক্ষে সিঁদুর খেলা, আরতি, অঞ্জলি -সহ সব আচার পালনের অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। এতকিছুর পরেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। শ্রীভূমির পুজো তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। কালীপুজোও এ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ধূমধাম করেই হয়। বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনায় বড় বড় কালীপুজো হয়।
রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। কলকাতা তো বটেই দুই পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতেও সংক্রমণ বেশি। আদালত জানিয়েছে, আত্মসচেতন হতে হবে সাধারণ মানুষকেই। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কর্মসূচী নিক রাজ্য। সর্বস্তরে সচেতনতা না বাড়লে কোনও নির্দেশিকাই কার্যকরী হবে না।
সুত্র : দ্য ওয়াল