Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
স্বাস্থ্য

নিয়মিত খাদ্যতালিকায় লেবু রাখা জরুরি যে কারণে

নিয়মিত খাদ্যতালিকায় লেবু রাখা জরুরি যে কারণে - West Bengal News 24

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে লেবুর তুলনা নেই। এক গ্লাস লেবু জল প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণে সক্ষম। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দেহকে সুস্থ ও সবল রাখতে লেবুর জুড়ি নেই। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এছাড়া এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্যাকটিন এর ভালো উৎস।

গ্রীষ্মকালে শরীরের আদ্রর্তা বজায় রেখে শরীরকে চাঙ্গা করে লেবু জল। নিয়মিত লেবু জল পানে কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা কমে, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। লেবু জল অন্ত্রের মধ্যে খাদ্য ও মল চলাচল সহজ করে। কিডনির পাথর অপসারণে ভূমিকা রাখে লেবু জল। কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ জলশূন্যতা। লেবু সেই জলশূন্যতা দূর করে।

কিছু পাথর জন্ম নেয় ক্যালসিয়াম লবণ থেকে। লেবুতে থাকা অ্যাসিড ক্যালসিয়াম লবণের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে পাথর ক্ষয় হয়। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম অনুগুলোকে একসাথে জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে অনেক রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না।

আরও পড়ুন : সহজ কয়েকটি পথ অনুসরণ করেই প্রাকৃতিকভাবেই লম্বা হোন

দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে লেবু। পাকস্থলীকে অ্যাসিডিক করে লেবু, যার ফলে ভাইরাস ,ব্যাকটেরিয়া সেখানে বসবাস করতে পারে না। লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ কারণে লেবু করোনা মোকাবেলায় ভূমিকা রাখে। এছাড়া এটি ক্যান্সার, হদরোগ, স্কার্ভি নামক রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

লেবুতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। প্র্রতিদিন হালকা কুসুম গরম জলে লেবু মিশিয়ে খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে।

রুপচর্চাতেও লেবু বেশ উপকারী। কুসুম গরম তেলে লেবু রস মিশিয়ে নিয়মিত মাথার তালুতে, চুলে লাগালে চুল স্বাস্থ্যজ্বল ও ঝরঝরে হয় । লেবু ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জৌলুস ফিরিয়ে দেয়। নখের উপর হলদে ভাব দূর করতে সাহায্য করে লেবু। এয়ার ফ্রেশনার হিসাবেও লেবু ব্যবহার করা যায়।

এসব ছাড়াও লেবু দিয়ে আচার বানিয়ে বছরজুড়ে সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়।

আরও পড়ুন ::

Back to top button