পর্যটন

কানাডা ভ্রমণে মিস করবেন না এই অতুলনীয় দ্বীপগুলো

কানাডা ভ্রমণে মিস করবেন না এই অতুলনীয় দ্বীপগুলো

কানাডা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর একটি দেশ। প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক আসেন দেশটি ভ্রমণে। কানাডা এমন একটি দেশ যেখানে আপনি চাইলে যেমন অ্যাডভেঞ্চার করতে পারবেন, তেমনি পারবেন প্রশান্তিময় অবকাশ যাপন করতে। প্রাকৃতিক প্রাচুর্য্যের পাশাপাশি দেশটি সাংস্কৃতিক দিক থেকেও বৈচিত্র্যময়। পাহাড়-পর্বত, জলপ্রপাত, ক্যানিয়ন, সবই আছে দেশটিতে। তবে অনন্য হচ্ছে এর দ্বীপগুলো। আসুন জেনে নিই তাদের কথা।

১। ভ্যানকুভার আইল্যান্ড
উত্তর আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় ভ্যানকুবার আইল্যান্ড অবস্থিত। এটি মহাদেশটির সবচেয়ে বড় দ্বীপ। দ্বীপটির বিশেষ আকর্ষণ হল ভিক্টোরিয়া শহর, বাটচার্ট বাগান এবং টোফিনো শহর।

২। প্রিন্স এডোয়ার্ড আইল্যান্ড
একবার দেখলে ভোলা যায় না এমন একটি দ্বীপ প্রিন্স এডোয়ার্ড। কাল্পনিক চরিত্র গ্রীন গ্যাবলসের এনি এর বসবাস কিন্তু এই দ্বীপেই। এটি কানাডার সবচেয়ে ছোট প্রদেশ এবং পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। কারণ যে এখানে আসে সে তো এনির গল্পের একটি অংশে পরিণত হয়!

৩। টরোন্টো দ্বীপ
টরোন্টো কানাডার একটি অন্যতম বিখ্যাত দ্বীপ। ১৮ শতকে রাজকীয় লাইটহাউজ ডেটিং এর জায়গা ছিল টরোন্টো। দ্বীপটি নগ্ন রৌদ্রস্নানের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি টরোন্টো শহরের কাছে অবস্থিত।

৪। কেপ ব্রেটন দ্বীপ
এই চমৎকার দ্বীপটি অবস্থিত নোভা স্কটিয়ায়। এটি মানুষের নির্মিত পাথুরে কউজোয়ে ‘ক্যান্সো কউজোয়ে’ এর সাথে যুক্ত। দ্বীপটিতে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ লবণাক্ত জলের লেক অবস্থিত। দেখে আসতে ভুলবেন না এটি।

৫। ওক দ্বীপ
কানাডার অন্যতম অসাধারণ দ্বীপ ওক। কোনভাবেই মিস করবেন না এই দ্বীপে ভ্রমণ। এটি নোভা স্কটিয়ার দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এর আকর্ষণ ঐতিহাসিকও বটে। কথিত আছে ১৮ শতকের জলদস্যুদের দখলে ছিল দ্বীপটি। লুটের সমস্ত সম্পদ তারা জড়ো করত এখানে।

৬। সাবল দ্বীপ
নোভা স্কটিয়া থেকে ১৮০ মিটার দক্ষিণে অবস্থিত সাবল দ্বীপ। দীপটি বিখ্যাত এর ঘোড়াদের জন্য! এই দ্বীপের ঘোড়ার সংখ্যা দ্বীপে বসবাসরত মানুষের তুলনায় বেশী। কানাডার সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হয় ঘোড়াগুলোকে।

৭। বোনাভেঞ্চার আইল্যান্ড
কিউবেক এর বোনাভেঞ্চার দ্বীপ আরেকটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের খনি। এটি সেন্ট লরেন্স এর গালফ এ অবস্থিত। পুরো দ্বীপটিকে একটি পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে ১৯১৯ সালে। এখানে দেখতে পাবেন ২৯৩ প্রজাতির পাখি। পাখিদের এই অনন্য বৈচিত্র্য প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক আকর্ষণ করে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button