জাতীয়

উত্তরাখণ্ডে প্রচারে বাঙালি ভোট পেতে উদ্বাস্তু আবেগ উসকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

Narendra Modi: উত্তরাখণ্ডে প্রচারে বাঙালি ভোট পেতে উদ্বাস্তু আবেগ উসকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী - West Bengal News 24

উত্তরাখণ্ডের উধম সিংহ নগর জেলার রুদ্রপুরে বাসিন্দাদের অধিকাংশই পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তু বাঙালি।

যাদের মধ্যে একটা বড় অংশ আবার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এই বাঙালি ভোট বিজেপির দখলে আনতে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে প্রচার সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

উত্তরাখণ্ডে ভোট সোমবার। তার আগে শনিবার রুদ্রপুর জনসভা করেন মোদি। জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বহু বাঙালি পরিবার এখানে বসবাস করেন।

মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি সরকারকে অভিনন্দন জানাতে চাই আমি। তাঁরা পুনর্বাসন পাওয়া বাঙালিদের জাতিগত শংসাপত্র থেকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দটি বাদ দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, ষাট ও সত্তরের দশকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা বহু শরণার্থীর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয় তত্‍কালীন উত্তরপ্রদেশের রুদ্রপুরে।

রুদ্রপুর এখন উত্তরাখণ্ডের অংশ। কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই পরিবারগুলির জাতিগত শংসাপত্রে ‘পূর্ব পাকিস্তানের উদ্বাস্তু’ লেখা থাকত।

গত বছর আগস্টে শংসাপত্র থেকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

আরও পড়ুন: ‘পালিয়ে বিয়ে করায় তরুণীর মাথা কেটে বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখলো মা-ভাই

রুদ্রপুরের মতুয়া ভোট বিজেপির ঝুলিতে আনতে আগে বনগাঁর সাসংদ শান্তনু ঠাকুরকে দিয়েও উত্তরাখণ্ডে প্রচার চালিয়েছে বিজেপি।

এছাড়াও উত্তরাখণ্ডের বাঙালির ভোটারদের কথা মাথায় রেখেই সে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের প্রচারে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন আরেক বাঙালি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি বিধানসভা খটিমা কেন্দ্রটিও উধম সিংহ নগর জেলায়। লকেট তাছাড়া রুদ্রপুর ছাড়াও রাজ্যের গদরপুর, সিতারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচুর বাঙালি বসবাস করেন।

সেই কথা মাথায় রেখেই এদিন নিজেও রুদ্রপুরে গিয়ে প্রচার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব মিলিয়ে প্রবাসী বাঙালিদের মন জয়ে চেষ্টার কসুর করছে না বিজেপি।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button