স্বাস্থ্য

যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর কৃমি হয়েছে

যেসব লক্ষণে বুঝবেন শিশুর কৃমি হয়েছে - West Bengal News 24

কৃমি সব বয়সি মানুষেরই হয়ে থাকে। শিশুদের কৃমি হলে তারা তা বুঝে না, প্রকাশও করতে পারে না। শিশুর খাদ্যে অরুচি, পাতলা পায়খানা, বমি বমি ভাব, পায়খানার রাস্তায় চুলকানি হলে বুঝতে হবে তার কৃমি হয়েছে।

বিভিন্ন প্রকার কৃমির মধ্যে গোলকৃমি, ফিতা কৃমি ও গুঁড়া কৃমির প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। কখনও কখনও গোলকৃমি শিশুর নাক-মুখ দিয়েও বেরিয়ে আসে।

এটি শিশুর শ্বাসনালিতেও প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া এটি শিশুর অন্ত্রে বা পিত্তনালিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। ফিতা কৃমি শিশুর অন্ত্রে লেগে থেকে রক্তপাত ঘটায়। এতে শিশু ধীরে ধীরে রক্তশূন্য হয়ে পড়ে। পায়খানার রাস্তায় চুলকানির জন্য গুঁড়া কৃমি দায়ী।

কৃমির কারণে শিশু অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়। কৃমি অন্ত্রে রক্তপাত ঘটিয়ে একদিকে শিশুকে রক্তশূন্য করে আবার অন্ত্রে পুষ্টি উপাদানের পরিপাক ও শোষণে বাধার সৃষ্টি করে ডায়রিয়া ঘটায়।

এভাবে দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণের ফলে শিশুর খাদ্যে অরুচি হয় এবং সে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুন :: যেভাবে বুঝবেন মলদ্বারে ক্যান্সার হয়েছে কিনা

অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবস্থা, অপরিষ্কার ঘরবাড়ি, দূষিত জলের ব্যবহার, টয়লেট শেষে ভালোভাবে হাত না ধোয়া, খাবার তৈরি বা খাওয়ার আগে হাত পরিষ্কার না করা, হাতের নখ বড় রাখা, দাঁত দিয়ে নখ কাটা ইত্যাদির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়।

চিকিৎসা

কৃমির চিকিৎসায় সাধারণত Albendayole বা Mebendayole অথবা Pyrental pamoate দেওয়া হয়। আমাদের দেশে বছরে দু’বার জাতীয় টিকা দিবস পোলিও টিকার পাশাপাশি এক বছর থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের কৃমিনাশক ওষুধ (Albendyaole) খাওয়ানো হয়।

প্রতিরোধ

* গৃহস্থালির কাজে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করতে হবে।

* স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

* খাবারের আগে বা টয়লেটের পরে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

* শিশুদের হাতের নখ বড় রাখা যাবে না এবং দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।

* সময়মতো কৃমিনাশক ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

* মানুষের অপরিশোধিত মল জমির সার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

আরও পড়ুন ::

Back to top button