ঝাড়গ্রাম: অরণ্যশহরে গণতন্ত্রের উৎসবে ভোট পড়ল ৭৫ শতাংশের কিছু বেশি। দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ঝাড়গ্রাম পুরভোট মিটল শান্তিতে।
এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের লাইন দেখা যায়। ভোটের দিন ছুটি, সেই সঙ্গে রবিবার থাকায় অনেক বাড়িতেই দুপুরে মাংস-ভাতের আয়োজন ছিল। ফলে সকাল সকাল ভোট দিয়ে বেশিরভাগ বাসিন্দা টিভিতে ও স্থানীয় চ্যানেলে চোখ রেখেছিলেন। এদিন ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সারাদিন তিনটি বুথ চত্বরে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অজিত মাহাতো ও সিপিআই প্রার্থী প্রতীক মৈত্র।
আরও পড়ুন :: ভাই যুদ্ধক্ষেত্রে, কলকাতায় বসে প্রার্থনায় ইউক্রেনের মেয়ে ইরিনা
ওই ওয়ার্ডে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ভোটকেন্দ্র দখলের পরিকল্পনার অভিযোগে সরব হন। তবে ভোটদান নির্বিঘ্নে হয়েছে। শহরের বেশিরভাগ বুথেই গড়ে ৭০-৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এবার অনেক ওয়ার্ডের প্রার্থী বহিরাগত হওয়ায় একাংশ ভোটার ভোট দিতে যাননি। তেমনই একজন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক শিক্ষিকা ভোটার বলেন, ‘‘যিনি প্রার্থী হয়েছেন তাঁর বাড়ি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁকে চিনি না। অন্য প্রার্থীরা পছন্দের নন। তাই ভোট দিতে যাইনি।
এদিন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তথ্যকেন্দ্র বুথে তৃণমূলের লোকজন বুথ দখলের লক্ষ্যে জমায়েত করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন বামেরা। রাপিড অ্যাকশন ফোর্সের জওয়ানরা চলে আসায় জমায়েতকারীরা চম্পট দেয়। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডেও তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছিল বলে সেখানকার সিপিএম প্রার্থী বিধান মিস্ত্রি অভিযোগ করেন। পুলিশ পৌঁছে গেলে জমায়েতকারীরা সরে যায়।
ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের মোট ৬৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণের ভোট হল এদিন। এগিয়ে রয়েছে শাসক তৃণমূলই। তবে কয়েকটি ওয়ার্ডে বিরোধীরাও তৃণমূলের ঘাসে নিশ্বাস ফেলছে।
তৃণমূলের নেতারা দাবি করছেন, ১৮-০ করে বোর্ড তাদেরই হবে। বাম ও বিজেপির নেতারা বলছেন, কয়েকটি ওয়ার্ড তাঁরা ছিনিয়ে নেবেন। ২ মার্চ ভোটের ফল প্রকাশের দিনে বোঝা যাবে তৃণমূলের নিরঙ্কুশ জয়, নাকি পুরভবনে বিরোধীরাও এবার বিরোধী আসনে বসবেন!