ঝাড়গ্রাম: বুধবার তখন সকাল পৌনে দশটা। ঝাড়গ্রাম মহিলা রাজ কলেজের গণনা কেন্দ্রের বাইরে হাসিমুখে বেরিয়ে এসেছেন অজিত মাহাতো। ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর হলেন অজিত। ওই ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী সিপিআইয়ের প্রতীক মৈত্র অজিতের চাপ বাড়িয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছিল।
অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও ছিল। তাই প্রচার থেকে ভোটদান সব কিছু মিটলেও নিশ্চিন্তে থাকতে পারছিলেন না অজিতের অনুরাগীরা। ভোট গণনার প্রথম রাউন্ডে প্রতীক এগিয়ে থাকায় রীতিমতো উদ্বেগ শুরু হয় ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ডে অজিত এগিয়ে থাকায় ২১২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন অজিত।
আরও পড়ুন :: তৃণমূলের নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে যা বললেন সুকান্ত মজুমদার
উচ্ছ্বাসে অজিত নিজেই মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও কল করেন তাঁর স্ত্রী মৌমিতাকে। অজিত বলেন, “জিতে গেছি।” মৌমিতা জানতে চান অজিত ঠিকমতো ওষুধ খেয়েছেন কিনা। অজিতের শারীরিক সমস্যার জন্য তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খান। বুধবার খুব সকালে অজিত গণনা কেন্দ্রে চলে আসায় ওষুধ সঙ্গে আনতে ভুলে গিয়েছিলেন।
পরে মৌমিতা গণনা কেন্দ্রে অজিতের ওষুধ পাঠিয়ে দেন। অজিত বলেন, “জয়ের খবর প্রথমে ভিডিও কল করে জীবনসঙ্গিনীকেই জানিয়েছি। মৌমিতার সমর্থন ছাড়া আমার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের বৃত্তটা তো অসম্পূর্ণ।”