‘ওয়াটার থেরাপি’তে কমবে ওজন
জলের অপর নাম জীবন। তাইতো দেহকে সচল রাখতে ও গরমে ডিহাইড্রেশন এড়াতে সারাদিন সাত থেকে আট লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ওজন কমাতেও জল থেরাপি? শুনে অবাক হলেও এই থেরাপি বহু প্রাচীন।
এই থেরাপির জন্ম হয়েছে সেই জাপানে। জাপানিরা দীর্ঘকাল ধরেই ওজন কমানোর জন্য ওষুধ হিসেবে জলই খায়। এখানে শুধু জলকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ওয়াটার থেরাপির নিয়ম: এই থেরাপিতে প্রধান লক্ষ্য থাকে, জলের ব্যবহারে পাকস্থলীকে যাতে সব থেকে ভাল কাজের অবস্থায় পৌঁছে দেয়া যায়। একই সঙ্গে লক্ষ্য থাকে হজম শক্তি ফিরিয়ে আনার এবং শরীরের সমস্ত অঙ্গ সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করার। প্রায় ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে জাপানিরা এই উপায়ে বিশ্বাস রেখে আসছে। যার ফল হিসেবে সকল জাপানির মেদহীন স্বাস্থ্য।
আরও পড়ুন :: টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ, কী করবেন?
সকালে উঠেই খালি পেটে চার থেকে পাঁচ গ্লাস জল খেতে হবে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে খালি পেটে এই অভ্যাস। দাঁত ব্রাশ করার পরেও অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট জল ছাড়া কিছুই খাওয়া যাবেনা। খাবার প্রতিদিন এক সময়ে খেতে হবে। খাবার খাওয়ার পর কোনো ভাবেই দুই ঘণ্টা জল খাওয়া যাবে না।
এই থেরাপি চলাকালে জল হোক বা অন্য কোনো খাবার, কখনো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবেননা। শারীরিক কোনো সমস্যা থাকলে বা বার্ধক্যজনিত কারণে হঠাৎ করে সকালে অনেকেই হয়তো চার গ্লাস জল একবারে খেতে পারবেননা। সেক্ষেত্রে আস্তে আস্তে জলের পরিমান বাড়ান। প্রথমে শুরু করুন সকালবেলা বাসি মুখে এক গ্লাস জল দিয়ে।