অনেক দিন পরে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে নিবিড় আয়োজন! রবিবার বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন করল ঝাড়গ্রাম কথাকৃতি। ২৮ বছর পরে মঞ্চে উঠলেন ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ সঞ্জীব মৈত্র। যিনি সকলের কাছে ‘সঞ্জুদা’ নামে পরিচিত।
রবিবার সন্ধ্যায় অরণ্যশহরের পুরাতন ঝাড়গ্রামের রাজা নরসিংহ মল্লদেব স্মৃতি মঞ্চে কথাকৃতির ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শহরের অন্যান্য নাট্য দলগুলিকেও। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন কথাকৃতির কর্ণধার কুন্তল পাল। কথাকৃতির প্রাণসঙ্গীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পিটার সেলার্স প্রেরিত এ বছরের বিশ্ব নাট্য দিবসের বাণী পাঠ করেন কথাকৃতির সদস্য শাঁওন পাল।
এরপর কথাকৃতি ও ছন্দক নৃত্য সংস্থার শিল্পীরা যৌথ ভাবে ‘ভরতের নাট্যশাস্ত্র ও অভিনয় দর্পণের আধারে অসংযুক্ত মুদ্রা ও যোগাসনে’র প্রদর্শন করেন। বিভঙ্গ মুদ্রা ও মঞ্চের সমন্বয় সাধন কিভাবে ঘটে কার্যত সেটির সমীক্ষা ছিল এই প্রদর্শন। কথাকৃতির কচিকাঁচা সংসদের সদস্যরা মঞ্চস্থ করে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের কাহিনী অবলম্বনে ছোটদের অনুনাটক ‘পাগলা গণেশ’।
ঝাড়গ্রামের মনপ্রয়াসী নাট্যদলের অনুনাটক ‘ভয়’ এবং কুরকুট নাট্য দলের অনুনাটক ‘ভুলে যাওয়ার জন্য’ মঞ্চস্থ হয়। সবশেষে ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ সঞ্জীব মিত্রের পরিচালনায় মঞ্চস্থ হয় মানুষ-পুতুল নাটক—‘নির্মাণ-বিনির্মাণ-পুনর্নির্মাণ।
প্রায় ২৮ বছর পরে মঞ্চে এই ধরনের পারফর্ম করলেন সঞ্জীব মিত্র। কচিকাঁচাদের সঙ্গে পাপেট নিয়ে সেই অসাধারণ উপস্থাপনা দেখে করতালিতে ফেটে পড়ল প্রেক্ষাগৃহ।
কথাকৃতির কর্ণধার কুন্তল পাল বলছিলেন, ‘‘২০২০ ও ২০২১ এই দু’বছর করোনার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে সংস্থার উদ্যোগে বাড়ি থেকেই ভার্চুয়ালি বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন হয়েছিল। দু’বছর পরে এবার পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে হল বিশ্ব নাট্য দিবসের উদযাপন।”