ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম শহরের বাড়িতেই এক কিশোরীর অপমৃত্যু হল। মৃত কিশোরীর নাম প্রীতি মণ্ডল (১৫)।
উত্তর বামদার বাসিন্দা প্রীতি শহরের বাণীতীর্থ হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ত। রবিবার দুপুরে নিজের ঘরে সিলিং ফ্যানে ওড়নার ফাঁসে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাড়ির লোকজন।
উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। শহরের একটি কোচিং সেন্টারে পড়ত প্রীতি। পরিবারের দাবি, সেখানে ঠিকমত পড়াশোনা না করার জন্য মা তাকে বকাবকি করেছিলেন। তবে সূত্রের খবর, পরিবারে কিছু সমস্যাও ছিল।
প্রীতির মামা জানালেন, প্রীতির বাবা সঞ্জয় মণ্ডল পেশায় স্পেশ্যাল হোমগার্ড। মা সোমা জীবনবিমার কাজ করেন। রবিবার দুপুরে ভাই ও মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে ঘরেই ছিল প্রীতি। দুপুরে খাওয়া দাওয়াও করেছিল। প্রীতিকে তার ভাই প্রথমে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে মামিকে জানায়।
কিন্তু ওই সময়ে বাড়িতে প্রীতির বাবা-মা ছিলেন না। ফলে উদ্ধার করতে অনেকটা সময় চলে যায়। পরে ওড়নার ফাঁস কেটে প্রীতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সবই শেষ হয়ে যায়।
প্রীতির মামা আরও জানালেন, শহরের যে কোচিং সেন্টারে প্রীতি পড়ত, সেখানে পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছিল সে। বিষয়টি নিয়ে প্রীতির মা তাকে বকাবকি করেছিলেন।
কোচিং সেন্টার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’দিন পড়তে যায়নি প্রীতি।