জাতীয়

ক্যান্সার কেড়েছে প্রাণ, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নবজীবনের সূচনা

স্বপ্নীল মজুমদার

ক্যান্সার কেড়েছে প্রাণ, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নবজীবনের সূচনা

রাঁচী: ক্যান্সার কেড়ে নিয়েছে প্রাণ। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে অর্পণ বক্সী ওরফে যীশুর কার্যত নবজীবনের সূচনা হল।

ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচী শহরের কডরু রোডের ওল্ড এজি কলোনির বাসিন্দা শুভাশিস বক্সী ও মৌসুমী বক্সীর একমাত্র ছেলে অর্পণ ওরফে যীশু হোটেল ম্যানেজমেন্টের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মাস ছ’য়েক আগে অর্পণের কিডনিতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ভেলোরে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস চিকিৎসা করানো হয়। পরে অর্পণকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। একাধিক কেমোথেরাপি নিতে গিয়ে কাহিল হয়ে গিয়েছিলেন তরতাজা তরুণটি। গত ২৬ মে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন অর্পণ।

ক্যান্সার কেড়েছে প্রাণ, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নবজীবনের সূচনা

সন্তানহারা বাবা-মা ঠিক করেন ছেলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান নয়, স্মরণ অনুষ্ঠান করবেন। ঘটনাচক্রে রবিবার ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসেই অর্পণের সেই স্মরণ অনুষ্ঠানের দিন ধার্য হয়েছিল। এদিন অতিথি ও আমন্ত্রিতদের প্রত্যেকের হাতে একাধিক ফুল ও ফলের গাছ তুলে দেন শুভাশিসবাবু ও মৌসুমীদেবী এবং পরিবারের লোকজন।

কোল ইন্ডিয়ার সহযোগী সংস্থা সিসিএলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার শুভাশিসবাবু জানালেন তাঁর বাড়ির একতলার দুই ভাড়াটিয়া বলরাম শ্যামল ও শুভাশিস মিশ্র এবং পরিবার ও স্বজন বন্ধুরা মিলে ঠিক করেন অর্পণকে বাঁচিয়ে রাখবেন প্রকৃতির মাঝেই। তাই এমন উদ্যোগ। এদিন স্মরণ অনুষ্ঠানে আগত আমন্ত্রিত প্রত্যেককের হাতে শুভাশিসবাবু, মৌসুমীদেবী, তাঁদের মেয়ে অর্পিতা, জামাই যোগিন্দর সিং সহ পরিবারের সদস্য ও স্বজন বন্ধুরা অতিথিদের হাতে যীশুর নামাঙ্কিত ব্যাগ ভর্তি গাছ উপহার দেন। শুভাশিসবাবু জানালেন, গাছগুলির মধ্যেই আগামী দিনে অর্পণকে বাঁচিয়ে রাখতে চান তাঁরা। একমাত্র ছেলের প্রয়াণে প্রকৃতিকেই আঁকড়ে ধরে বাকি দিনগুলি কাটাবেন বলে স্থির করেছেন বক্সী দম্পতি।

ক্যান্সার কেড়েছে প্রাণ, বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নবজীবনের সূচনা

এদিনই অর্পণের স্মৃতিতে একটি বই প্রকাশ করা হয়। পরিবারের সদস্য, বন্ধু, শিক্ষক ও পরিচিজনরা সেখানে অর্পণকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে নানা লেখা লিখেছেন। অর্পণের ছোটবেলার বন্ধু শ্লোকসাগর তিওয়ারি ও আনন্দ সাগর বলছেন, “অসম্ভব ভাল মনের বন্ধু অর্পণ। সব সময় আমাদের পাশে থেকেছে। শরীরে অর্পণ নেই ঠিকই, তবে আমাদের মাঝে অর্পণ বেঁচে থাকবেই।”

আরও পড়ুন ::

Back to top button