কান নয়, মাথাকে ধরতে হবে! : দিলীপ ঘোষ
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ শুক্রবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডোমজুড়ে পথ অবরোধ প্রসঙ্গে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”পশ্চিমবাংলায় এই ধরনের ক্রিয়া-কলাপ বাড়ছে, CAA নিয়ে একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধ ট্রেন বাস জ্বালানো হয়েছে, উদ্দাম-নৃত্য আমরা দেখেছি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে দেখে কিছু করে না, এখানেও তাই হয়েছে।
আমার মনে হয়, এটা ধীরে ধীরে বাড়বে সরকার আইন-কানুনকে সুরক্ষিত করুক, এটা সরকারের দায়িত্ব। সবার প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, কিন্তু জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করবে আর মানুষ দাঁড়িয়ে থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু করার ক্ষমতা নেই।”
এদিকে, গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”এটা সবাই জানে কারা এদের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু যারা মাথা, তারা যতক্ষণ না গ্রেফতার হচ্ছে, এই সমস্যার সমাধান হবে না। সেটা হওয়া উচিত। তাহলে মানুষ কিছুটা আশ্বস্ত হতে পারবেন।”
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, সুদের হার কমানো এগুলো থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে পরিকল্পিতভাবে দিল্লি থেকে বিবৃতি দিচ্ছে তাদের গ্রেফতার করে তিহার জেলে পাঠানো উচিত বলে দাবি করছে বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”সরকার তার নিজস্ব স্টাইলে সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রশাসনকে দেখুন। এ সাময়িক ব্যাপার, এখানে স্থায়ীভাবে যে ধরনের আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, মানুষের প্রাণ যাচ্ছে মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, যে ধরনের বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে খুন হয়ে যাচ্ছে, আগে পশ্চিমবঙ্গকে ঠিক করুন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলা ভাগ রক্ত দিয়ে হলেও রুখব, বাংলাকে ভাগ হতে দেব না। এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”কামতাপুরী আন্দোলনের নেতা বংশী বদন এর সঙ্গে কে জোট করেছিল, তিনি এখন কোন পার্টিতে আছেন, গ্রুপের সঙ্গে জিটিএ নিয়ে চুক্তি কে করেছিল? তিনি গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সাথে চুক্তি করেছিলেন। বিজেপি কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে প্রশ্রয় দেয় না। কোন রাজ্য ভাগাভাগির পক্ষেও নেই।”