কেউ কেঁদে ভাসালেন, কেউ বা প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দে কুশল বিনিময় করলেন ! কালীপুজোর পরদিন কোচবিহারের কুচলিবাড়ি সীমান্তে কাঁটাতারের নাগালে মিলন মেলায় এভাবেই ভাঙল আবেগের বাঁধ। এই মিলন উৎসব দেখতে ভিড় জমালেন অন্যরাও। একদিনের এই সাক্ষাৎ শেষে শুরু হল এক বছরের অপেক্ষা !
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কালীপুজোর পরদিন মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ির সীমান্তের হেদুরটারি ও বল্টুরটারি এলাকায় দুই দেশের মানুষ আত্মীয়, পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান ৷ ভারতের তরফে এই বিষয়টি পরিচালনা করে বিএসএফ৷ দুই দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হল, বিশেষ অনুমতি নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পরভূমে পা রাখাও যায় !
তাই বহু দূর থেকেও মানুষ আসেন এই মিলন উৎসবে সামিল হতে ৷ ধূপগুড়ির এক বাসিন্দা জানান, “আমার বাবা-মা এখনও বাংলাদেশের পাটগ্রামে থাকেন ৷ সেখানে আমার বাপের বাড়ির আরও অনেকে রয়েছেন ৷ পাসপোর্ট করে বাংলাদেশে যেতে পারি না ৷ তাই প্রত্যেক বছর বাবা-মায়ের মুখ দেখতে এখানে আসি। উৎসবের দিনগুলোয় বেশি করে ওঁদের কথা মনে পড়ে ৷ এভাবে দেখা করতে দেওয়ার জন্য বিএসএফ-কে ধন্যবাদ ৷”
এঁদের কথা ভেবেই বিএসএফ একদিনের জন্য মিলন মেলার অনুমতি দেয়। কাঁটাতারের দুই পাড়ের বহু মানুষই একইভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএসএফ-কে। প্রতিবছরের মতো এবারও এই ব্যবস্থাপনা ঘিরে কার্যত উৎসবের চেহারা নেয় কুচলিবাড়ি সীমান্ত।