ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় তিনটি শাবক প্রসব করল চিতাবাঘিনী, সিসি ক্যামেরার নজরদারি
স্বপ্নীল মজুমদার
ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানার ঘেরাটোপে তিনটি শাবক প্রসব করল স্ত্রী চিতাবাঘ হর্ষিনী। চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে শাবক প্রসব করেছে হর্ষিনী। পুষ্টিতে যাতে মায়ের ঘাটতি না থাকে সেজন্য সপ্তাহে ভরপেট খাওয়ানো হচ্ছে স্ত্রী চিতাবাঘটিকে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের একমাত্র স্ত্রী চিতাবাঘ হর্ষিনী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই তাকে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখা হয়েছে। বন দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানাটি প্রাকৃতিক শালজঙ্গলের মাঝে।
সেই কারণে স্বাভাবিক পরিবেশ থাকায় এখানে বন্যপ্রাণির বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, চিড়িখানার পুরুষ চিতাবাঘ সোহেল ও হর্ষিনীর মিলনের ফলে আড়াই বছর আগে দু’টি পুরুষ শাবক হয়েছিল। সেই শাবকগুলি হর্ষিনীর সঙ্গেই ঘেরাটোপে পূর্ণ বয়স্ক হয়ে ওঠায় ‘ইনমিটিং’-এর ফলে হর্ষিনী ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়।
হর্ষিনী খুবই হিংস্র স্বভাবের। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের চা বাগান বস্তি থেকে ধরা পড়ার পর হর্ষিনীকে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রথম পুরুষ চিতাবাঘ সোহেলকে খয়েরবাড়ি থেকে আনা হয়েছিল তারও আগে ২০১৭ সালে। ২০২০ সালে হর্ষিনী সন্তান প্রসবের আগেই সোহেলকে আলাদা ঘেরাটোপে রাখা হয়েছিল।
এবার নিজের সন্তানদের কারও ঔরসেই ফের মা হল হর্ষিনী। চিড়িয়াখানার পশুচিকিৎসক চঞ্চল দত্ত বলেন, বুধবার রাতে তিনটি শাবক প্রসব করেছে হর্ষিনী। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে হর্ষিনী ও তার শাবকদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। শাবকগুলি সুস্থ আছে।