বিজেপি যারা নাকি অম্বানীর ঘনিষ্ঠ, তাদের বিশেষ বড় মুখদের অনন্ত-রাধিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা না গেলেও, বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের কিন্তু বড় বড় মুখের দেখা মিলেছে।লোকসভা ভোট প্রচারই হোক বা জনসভা, মোদী সরকারের সঙ্গে অম্বানী-আদানির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও তাঁর দল বারংবার অভিযোগ তুলেছে যে মোদী সরকার শুধুমাত্র আম্বানী-আদানিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই কাজ করে। তবে অম্বানীর ছেলের বিয়েতে দেখা গেল উল্টো চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানির মতো বিজেপি নেতারা যেমন আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন, তেমনই কংগ্রেসের গান্ধী পরিবার থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব সহ ইন্ডিয়া জোটের একাধিক নেতৃত্ব আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। মুকেশ অম্বানীর ছোট ছেলে অনন্ত অম্বানী-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে বলিউড, হলিউডের অভিনেতারা যেমন আমন্ত্রিত ছিলেন, তেমনই আবার দেশ বড় বড় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বিদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতারাও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন।
ইন্ডিয়া জোটের এই হাজিরা নিয়ে চুপ করে থাকেনি বিজেপি। আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, “অম্বানী-আদানি নিয়ে লাগাতার সমালোচনার পর ইন্ডিয়া জোটের নেতারা অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে লাইন দিয়েছেন। বালক বুদ্ধি রাহুল গান্ধীকে দেখা যায়নি কারণ তিনি বিদেশে রয়েছেন। প্রথমবার বিরোধী দলনেতা হয়েছেন, কিন্তু কেউ জানে না উনি কোথায় রয়েছেন।”
বিজেপির নেতৃত্বদের মধ্যে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, অভিনেতা রবি কিষাণকে দেখা গিয়েছে অম্বানীর বিয়েতে। জোটসঙ্গীদের মধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, অজিত পওয়ারকে দেখা যায়।