অগ্নিমূল্য বাজার – মুখ্যমন্ত্রীর ধমকে আদৌ কাজ হল কি? কি বলছে টাস্ক ফোর্স?
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
অগ্নিমূল্য বাজার, আলু , পটল থেকে শুরু করে অন্যান্য শাকসবজি – হাত দিয়ে ছোঁয়ার চেষ্টা করলেই হাতে ছ্যাঁকা লাগতে বাধ্য। এমন পরিস্থিতিতে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া ধমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে যেন বাজারদর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে৷ সেই ধমকে কিছুটা হলেও কাজ হয়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতা৷
বিক্রেতাদের দাবি , বাইরে থেকে যে সবজিগুলো আসছে, মূলত সেগুলিরই দাম বেশি। যদিও গত এক সপ্তাহে অনেকটাই দাম কমেছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের। ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার অনুযায়ী, এক সপ্তাহ আগের দাম থেকে আজকের দাম (প্রতি কিলো)
কাঁচা লঙ্কা– ১৫০-১৮০টাকা। এখন ১৫০ টাকা।
ক্যাপসিকাম – ১০০টাকা। এখন ১৫০ টাকা
বিনস – ১০০ টাকা। এখন ২০০ টাকা
বেগুন – ১২০ টাকা৷ এখন ৮০ টাকা
টোম্যাটো – ৮০টাকা। এখন ৭০ টাকা
উচ্ছে – ১০০ টাকা। এখন ৮০ টাকা
লাউ– ৫০ টাকা। এখন ৩৫ টাকা
গাজর – ৬০ টাকা। এখন ৫৫টাকা
পটল – ৪০ টাকা। এখন ৬০ টাকা
বরবটি – ১০০টাকা। এখন ৭০ টাকা
শশা – ৬০ টাকা। এখন ৭০ টাকা
কুমড়ো – ২৫ টাকা। এখন ৩০ টাকা
চিচিঙ্গে – ৭০ টাকা। এখন ৬০ টাকা
জ্যোতি আলু – ৩৬ টাকা। এখন ৩২ টাকা
চন্দ্রমুখী আলু – ৪৫ টাকা। এখন ৪০ টাকা
পেঁয়াজ – ৫০ টাকা। এখন ৪০-৫০ টাকা।
মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরে কিছুটা হলেও কমেছে সবজির দাম। কিন্তু এখনও বেশ কিছু সবজির দাম ১০০ পার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে বিভিন্ন বাজারগুলিতে অভিযান চালাচ্ছে টাস্ক ফোর্স৷ তবুও বেশ কিছু সবজির দাম এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।