উত্তরের দুই জেলায় তুমুল ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা দিলো আলিপুর হাওয়া অফিস। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে দুই জেলায়। তবে উত্তরে উপরের জেলাগুলিতে বৃষ্টি যতই হোক দক্ষিণের জেলাগুলিতে ভ্যাপসা গরম কিন্তু কমেনি।
আজ হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে স্ক্যাটারড রেইনের সম্ভাবনা। ক্রমশ বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। ২৫ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টির বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আপাতত ভারী বৃষ্টিরও কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
আজ, সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
এখনও দক্ষিণবঙ্গে সামগ্রিকভাবে বৃষ্টিতে ঘাটতি। উপকূলের জেলাগুলিতে ঘাটতি সবথেকে বেশিই দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে। এই জেলাগুলিতে ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে বৃষ্টির। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে ৩৪ থেকে ৪৬ শতাংশ। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঘাটতি ৩৪ থেকে ৫২ শতাংশ।
নদিয়াতে ৫৬ শতাংশ ঘাটতি. যা দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সর্বোচ্চ। পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫২ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি। মুর্শিদাবাদ জেলায় ৪৬ শতাংশ ঘাটতি। পশ্চিম বর্ধমানে ৩৪ শতাংশ ঘাটতি। হুগলিতে ৩৪ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে বৃষ্টির।
নতুন করে একটি ঘূর্ণাবর্ত অঞ্চল তৈরি হয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশাতে এই ঘূর্ণাবর্ত। মৌসুমী অক্ষরেখা দেহেরী রাঁচি বালাসোর হয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিকে এগিয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পর্যন্ত বিস্তৃত।
রাজস্থান থেকে দিল্লির উপর দিয়ে পূর্ব ভারত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা। আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা কঙ্কন, গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক এলাকায়।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে ওড়িশা, বিদর্ভ, মারাঠাওয়াড়া, গুজরাত, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, কেরল এবং মাহেতে।