১ থেকে ১৫, তারপর সোজা ২৩ – হাওড়া স্টেশনে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম নেই কেন ?
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
দেশের মধ্যে সর্বাধিক ২৩ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে এই স্টেশনে। দিনে দশ লক্ষেরও বেশি যাত্রীর যাতায়াত। গোটা দেশের অন্যতম ব্যস্ত রেল স্টেশন হাওড়া। স্টেশনটির পরতে পরতে ইতিহাস। বর্তমানে রোজ ৪৫০ সাবার্বান এবং ১০৭টি দূরপাল্লার ট্রেন এখান থেকে চলাচল করে।
সালটা ১৮৫৪। হাওড়া থেকে হুগলির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল ট্রেন। ৯১ মিনিটের এই যাত্রাপথই ইতিহাস লিখেছিল রেলের খাতায়। শুরু হয় হাওড়া স্টেশনের পথচলা। আর আজ ! পূর্ব রেল সূত্রে জানা যায়, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮৫৪ সালের ১৫ আগস্ট থেকে এই লাইনে ট্রেন চলা শুরু হয়। স্টেশনটির ১ থেকে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম রয়েছে ওল্ড কমপ্লেক্সে আর ১৭ থেকে ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম আছে নিউ কমপ্লেক্সে। তবে এটা হয়তো অনেকেরই অজানা যে, এই স্টেশনে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মই নেই।
আরও পড়ুন :: রোজ ট্রেনের টিকিট কাটেন – কিন্তু শুধুই টিকিট নয়, মূল্য দেন আরো অনেক কিছুর
১৯০৫ সালে হাওড়ায় নতুন ছ’টা প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়। ফলে সংখ্যা বেড়ে হয় সাতটা। ১৯৮৪ সালে ১৫। ১৯৯২ সালে নতুন টার্মিনাল তৈরি হয় এই স্টেশনের। ২০০৯ সালে প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৩। তবে হাওড়া স্টেশনের পরিচয় বহন করে বিশালাকার ঘড়ি। ১৯৭৫ সালে ‘বড় ঘড়ি’ ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল হয়। এখন অবশ্য রিচার্জেবল ব্যাটারিচালিত স্বয়ংক্রিয় ঘড়ি হয়ে গিয়েছে। লন্ডনে জন্ম হলেও হাওড়া স্টেশনে লাগানোর দায়িত্ব পেয়েছিল কলকাতার বিখ্যাত ঘড়ি ব্যবসায়ী দেবপ্রসাদ রায়ের সংস্থা রায় ব্রাদার্স কোম্পানি।
এই বড় ঘড়ি হল হাওড়া স্টেশনের ল্যান্ডমার্ক। লন্ডনের এডওয়ার্ড জন ডেন্টের সংস্থার তৈরি ঘড়িটি হাওড়া স্টেশনে জায়গা পায় ১৯২৬ সালে। ৩ ফুট ৯ ইঞ্চির ডায়ালে বড় কাঁটা দুফুটের। আর ছোট কাঁটাও ছোট নয় মোটেও। লম্বায় দেড় ফুট।