২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চে বক্তব্য রাখলেন অখিলেশ যাদব। সমাজবাদী পার্টির নেতা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেন। বিজেপি সরকার খুব তাড়াতাড়ি পড়ে যাবে। সে কথাও দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
অখিলেশ যাদব কলকাতা বিমান বন্দরে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে যান। সেখান থেকে দুজনে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সভামঞ্চে উঠতেই অখিলেশ যাদবকে সম্বর্ধনা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিলেশ যাদবের নামে স্লোগান দেওয়া হয় মঞ্চ থেকে।
দিল্লিতে অতিথি সরকার চলছে। বেশি দিন এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে না। মানুষ জাগলে বিজেপির মিথ্যা প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। দেশে ইতিবাচক রাজনীতির সময় এগিয়ে আসছে। সম্প্রীতি তৈরি করতে মানুষকে একজোট হতে হবে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এই বার্তা দিলেন অখিলেশ যাদব। বাংলা ও উত্তর প্রদেশ থেকে বিজেপিকে সরানো গিয়েছে। দিল্লি রাজনীতি থেকে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
যারা এই ষড়যন্ত্র করে, তারা বেশি দিন থাকে না। খোঁচা দিলেন অখিলেশ যাদব। অখিলেশ এদিন বলেন, ” আমরা – আপনারা নেতিবাচক রাজনীতি করি না। ইতিবাচক রাজনীতি করি। মানুষের জীবনে শীঘ্রই বদল আসবে৷ মানুষের জন্য আমাদের একজোট হতে হবে। বদল আনতে হবে।” সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা তুলছে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকলে, তিনি সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে পারবেন। এই কথা বললেন অখিলেশ।
তৃণমূল কর্মী – সমর্থকদের ভূমিকা সম্পর্কেও প্রশংসা করেছেন অখিলেশ। যে দলে এভাবে কর্মীরা শহিদ হতে পারেন, সেই দল সম্পদে পূর্ণ। সেই দলের অনেক শক্তি। এই বার্তা দিলের উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইকে কুর্নিশ করলেন তিনি। অখিলেশ বলেন, এর আগে নির্বাচনে হাঁটতে পারছিলেন না। পায়ে প্লাস্টার নিয়ে কর্মীদের জন্য লড়ছিলেন। পায়ে প্লাস্টার নিয়েই কর্মীদের জন্য লড়েছিলেন। তখন বলেছিলাম, একজন একা লড়ে চলেছেন। জিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। কম নেতা রয়েছেন, যাঁরা প্রাণ বাজি রেখে এভাবে লড়াই করেন।”
অখিলেশ বলেন, ”এর আগে নির্বাচনে হাঁটতে পারছিলেন না। পায়ে প্লাস্টার নিয়েই কর্মীদের জন্য লড়েছিলেন। তখন দুটো লাইন বলেছিলাম, একজন একা লড়ে চলেছেন, জিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। কম নেতা রয়েছেন, যাঁরা প্রাণ বাজি রেখে লড়াই করেন এ ভাবে। তাঁর সঙ্গ দিয়েছেন এই বিপুল পরিমাণ কর্মীরা। কর্মী কোনও ব্যক্তির নাম নয়। একটা বিচারধারা। এক বার রাজনৈতিক কর্মীরা জোটবদ্ধ হলে,সারা জীবন ওই দলের জন্য লড়াই করেন। এই কর্মীদের ধন্যবাদ দিচ্ছি। শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত লড়াই করে চলেছেন, এমন কর্মীদের কুর্নিশ জানাই।”