মঙ্গলবার সংসদে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার আগে সোমবার ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষা উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। অর্থনীতিকে গতিশীল করতে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা বাজেটে প্রতিফলিত হয়।
সমীক্ষা অনুসারে, দেশের জিডিপি ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে ৬.৫-৭ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। একই সময়ে মুদ্রাস্ফীতির হার অনুমান করা হয়েছে ৪.৫ শতাংশ। যেখানে ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরে মূল্যস্ফীতির হার অনুমান করা হয়েছে ৪.১ শতাংশ।
তিনি বলেছেন, ব্যবসা করার সহজতা আনতে অনেক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। সেখানে ১১ টি ধাপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনীতিতে ২০২৩ আর্থিক বর্ষে অনেক চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও ২০২৪ আর্থিক বছরে অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। দেশের জিডিপি ২০২৪ অর্থবর্ষে ৮.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম তিনমাসে তা ৮ শতাংশ অতিক্রম করেছে। পাশাাপাশি বলা হয়েছে, বাহ্যিক চ্যালেঞ্জগুলি ভারতের অর্থনীতিতে ন্যূনতম প্রভাব ফেলেছে।
কর্মসংস্থান নিয়ে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পরিবেষা খাতই সব থেকে বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করে। পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে সরকার গুরুত্ব দেওয়ায় নির্মাণ খাতে দ্রুত বিকাশ হচ্ছে। সমীক্ষা অনুসারে, নির্মাণ খাতে কর্মসংস্থান অসংগঠিত এবং সেখানে বেতন খুবই কম। সেই কারণে কৃষি ছেড়ে শ্রমশক্তির জন্য নতুন কর্মসংস্থানের প্রয়োজন রয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, খারাপ ঋণের উত্তরাধিকারের কারণে গত এক দশকে উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থান কম হলেও ২০২১-২২ আর্থিক বছর থেকে এই খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে,খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি গত দুই বছর ধরে বিশ্বের কাাছে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ভারতের কৃষি খারাপ আবহাওয়ার শিকার হয়েছে। জলাশয় হ্রাসের কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ফলে খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। যে কারণে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি ২০২২-২৩ সালে ৬.৬ শতাংশ থেকে ২০২৩-২৪-এ ৭.৫ শতাংশ হয়েছে।
তবে দেশে প্রশাসনিত ও মুদ্রানীতির কারণে মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাফল্য এসেছে। ২০২২-২৩-এ মূল্যস্ফীতি ৬.৭ শতাংশ থেকে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ৫.৪ শতাংশে নামিয়ে আনা গিয়েছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা হল একটি বার্ষিক নথি, যা ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রক তৈরি করে। এটি সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের একদিন আগে প্রকাশ করা হয়। গত এক বছরে দেশের আর্থিক কর্মক্ষমতার একটি ব্যাপক পর্যালোচনা সেখানে থাকে। সমীক্ষায় ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক নীতিগুলির অন্তর্দৃষ্টি এবং সুপারিশও থাকে। সমীক্ষায় অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলিকেও তুলে ধরা হয়।