উত্তরবঙ্গ বলে কোনও ভূখণ্ড ভারতবর্ষে নেই, বাংলার মানুষ বুক দিয়ে রুখবে চক্রান্ত! হুঁশিয়ারি তৃণমূল সাংসদের
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
উত্তরবঙ্গের (North Bengal) আট জেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এই মর্মে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখাও করেন। একই সঙ্গে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাবও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
আর এহেন পদক্ষেপ ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। বাংলা ভাগের চক্রান্ত বিজেপি করছে বলে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি কড়া ভাষায় সুকান্ত মজুমদারকেও আক্রমণ শানিয়েছেন শাসকদলের একাধিক শীর্ষ নেতা।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার সময় সুকান্ত মজুমদার সংবিধান মেনে চলার শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু এই দাবি সম্পূর্ণ ভাবে সংবিধানের পরিপন্থী বলে দাবি বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার।
তাঁর কথায়, উত্তরবঙ্গ বলে আলাদা কোনও ভূখণ্ড ভারতবর্ষে নেই। যে আটটি জেলাকে বলা হচ্ছে উত্তরবঙ্গ, সেগুলি আসলে পশ্চিমবঙ্গের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং বাংলারই অন্তভুক্ত আটটি জেলা বলে দাবি সুখেন্দু শেখর রায়ের। এই প্রসঙ্গে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অংশে যে পৃথক রাজ্যের দাবি আছে সেই কথা তুলে ধরেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ।
তাঁর কথায়, সুকান্ত মজুমদারের কথা যদিও মেনে নিতে হয় তাহলে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ,মহারাষ্ট্র সহ একাধিক পৃথক রাজ্যের দাবিকে মেনে নিতে হবে সরকারকে। এমন ভারতবর্ষ জুড়ে এমন ৪০ টি পৃথক রাজ্যের দাবি আছে। আর তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পড়ে আছে বলে দাবি সুখেন্দু শেখর রায়ের। ভোটে জিততে না পেরে বাংলা ভাগের চক্রান্ত করা হচ্ছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মানুষ যা বুক দিয়ে রুখবে বলে মন্তব্য করেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা।
শুধু তিনিই নয়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর দাবি, সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইছেন। এমন সংবিধানে কোথাও বলা হয়নি। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন করতে চাইলে তো প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্পেশাল প্যাকেজ চাইতে পারতেন? তা না করে বাংলা ভাগের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সাহস থাকলে কেন্দ্রীয় সরকার করে দেখাক? কী ফল হবে তা আগামী ২০২৬ সালে বুঝতে পারবে বলে আক্রমণ মমতার মন্ত্রী। বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তুলেছিলেন জন বার্লা। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়।