বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে তিনি প্রস্তুত। এমনই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, এই নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে আপত্তি জানিয়েছে সেকথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিল বিদেশমন্ত্রক।
তার পাল্টা জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাকে শেখাতে আসবেন না সংসদীয় গণতন্ত্র কীভাবে চলে। কার এক্তিয়ার কতটা সেটা খুব ভাল করে জানি। সাতবার সাংসদ পদে থেকেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বিদেশমন্ত্রককে এই নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
তার পাল্টা জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাকে শেখাতে আসবেন না সংসদীয় গণতন্ত্র কীভাবে চলে। কার এক্তিয়ার কতটা সেটা খুব ভাল করে জানি। সাতবার সাংসদ পদে থেকেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বিদেশমন্ত্রককে এই নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। চাকরিতে সংরক্ষণের প্রতিবাদে বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। পড়ুয়া তেকে আমজনতা সকলে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন। সেই ঘটনায় সেনা নামাতে হয়েছিল হাসিনা সরকারকে।
বিক্ষোভের জেরে একাধিক বাংলাদেশি মারা গিয়েছেন। প্রায় শতাধিক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে সেই উত্তেজনায়। বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কোনও বাংলাদেশি শরণার্থী আশ্রয় চান তাহলে বাংলা সরকার সীমান্ত খুলে দেবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরেই সরব হয়েছিল বিজেপি। সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনও রাজ্য সরকার নিয়ে পারে না বলে অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতারা।
তারপরেই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক ভারতের বিদেশমন্ত্রকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কাজেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য একেবারেই তাঁরা সমর্থন করেন না। বাংলাদেশের মানুষের ভরসা রয়েছে সেদেশের সরকারের উপরে। তেমন কোনও বড় ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশ সরকারের সেই চিঠি প্রাপ্তির কথা বিদেশমন্ত্রকের সচিব জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।