আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ২ শতাংশ বেড়েছে। নতুন করে যুদ্ধ শুরু হলে অচিরেই অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ১১০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা। গাজার পাশাপাশি ইরান ও লেবাননের সঙ্গেও হয়তো যুদ্ধে নামতে হবে ইজরায়েলকে।
মানে একটা মিনি ওয়ার্ল্ড ওয়ারের সম্ভাবনা স্পষ্ট হচ্ছে বললেও ভুল হয় না। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াচ্ছে ? ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, লেবানন, ইরানের মতো দেশকে সঙ্গে নিয়ে মিলিতভাবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে চায়। এনিয়ে আলোচনা করতে সে দেশের দুই টপ আর্মি কম্যান্ডার তেহরানে গিয়েছেন।
লেবানন আর্মির পরিকল্পনা, একদিকে অ্যান্টি ইজরায়েল ফোর্স, অন্যদিকে হিজবুল্লা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় এখন সেটাই দেখার। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে ইরানে ঢুকে সে দেশে স্টেট গেস্ট হামাস চিফ ইসমাইল হানিয়াকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই সেনা কর্তাদের বলেছেন, এবার সরাসরি ইজরায়েলের উপর হামলা করতে হবে। যুদ্ধ বাঁধলে বাঁধবে, তবে ইরান কিছুতেই পিছিয়ে আসবে না।
এসবের ধাক্কা আমার-আপনার সংসার খরচেও পড়বে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের। জাপানি উপদেষ্টা সংস্থা নোমুরা এখন থেকেই বলছে, ভারতে পেট্রোপণ্যের দাম ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে সেটা না হলেই সবার মঙ্গল। কিন্তু হবে না যে, তা জোর দিয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রসংঘে জাপান বলেছে, পশ্চিম এশিয়ায় আর একটা ফ্রন্টেও যুদ্ধ শুরু হলে তেলের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। এশিয়ায় তেলের সরবরাহ লাইন বিপর্যস্ত হতে পারে বলেও মনে করছে তারা।