অশান্ত বাংলাদেশ, মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনে সেনার সবুজ সংকেত চাইছে বিসিবি
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
অশান্ত বাংলাদেশে। পদ্মাপারের দেশটিতে বর্তমানে বিরাট রাজনৈতিক পালাবদল ঘটেছে। দেশের রাজনীতি এবং আভ্যন্তরীণ সমস্যার মধ্যে জড়িয়ে গিয়েছে সেদেশের ক্রিকেটও। আগামী মাসে সেখানে হওয়ার কথা মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ। কিন্ত বর্তমান পরিস্থিতিতে আদৌ কি বিশ্বকাপ করা সম্ভব? বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে সেনা বাহিনীকে।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে মহিলা টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচগুলি শুরু হবে, তারপরেই শুরু হবে মূলপর্ব। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে যেভাবে অশান্তি হচ্ছে তাতেও বিশ্বকাপের মতো ইভেন্ট আয়োজন ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এবার সেনার কাছে বিশ্বকাপ নিয়ে চিঠি দিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পরিস্থিতি যা, তাতে নতুন স্থায়ী সরকার না আসা পর্যন্ত সেনাও সবুজ সংকেত দিতে পারবে কিনা, সেই নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবি চাইছে না কোনও ভাবে বাংলাদেশ থেকে টুর্নামেন্ট সরে যাক। তাই আসরে নেমেছে। বিশ্বকাপের মূল পর্ব শুরু হবে ৩ অক্টোবর থেকে। বিসিবির আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান ইফতিখার আহমেদ মিঠু জানান, ‘আমরা চাইছি মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশেই আয়োজন করতে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের বোর্ডও খুব একটা স্বস্তি নেই। আমরা সেনা প্রধানের কাছে চিঠি দিয়েছি এবং বিশ্বকাপের সময় দলগুলোর নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে জানতে চেয়েছি।’
একইসঙ্গে তিনি বলেন, আইসিসি দুদিন আগে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তা বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এটি সেনা এবং সরকারের হাতে। তাই এই বিষয় সেনার অনুমতি এবং পরামর্শ আমরা চেয়েছি। সেনার তরফে বক্তব্য জানানো হলেই আমরা তা আইসিসিকে তা জানিয়ে দেব ‘। বাংলাদেশে সম্প্রতি রাজনৈতিক পালা বদল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীত্ব ছেড়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর সম্প্রতি মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তিকালীন সরকার গঠন হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে এখন ছন্দে ফিরতে চাইছে বাংলাদেশ
আইসিসি চাইছে বাংলাদেশের সঙ্গে সময়ের মিল থাকা কোনও দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে, যাতে সূচিতে বড় বদল করতে না হয়। এক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী রয়েছে। যদিও আইসিসির পক্ষ থেকে আগেই বিবৃতি বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের অবস্থার উপর নজর রাখা হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তার দিকটাই আসল। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’