অপমান-লাঞ্ছনা নিতে আর পারছি না! ‘স্বেচ্ছায়’ পদত্যাগ আরজি করের অধ্যক্ষের
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
আরজি কর (RG Kar Hospital) সরকারি হাসপাতালে জুনিয়ার মহিলা ডাক্তারকে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণ করে খুন! বিচারের দাবিতে উত্তাল বাংলা। এর মধ্যেই বড় পদক্ষেপ আরজি কর হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের। প্রবল চাপের মুখে দিলেন ইস্তফা দিলেন সন্দীপ ঘোষ।
তিনি জানান, অপমান-লাঞ্ছনা নিতে আর পারছি না। আর সেই কারণেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করার কথা জানালেন প্রিন্সিপাল। এজন্য কোনও মন্ত্রী বা কোনও উপরতলা থেকে চাপ আসেনি, এমনকি কেউ বাধ্য করেনি বলেও জানান।
অন্যদিকে এই বিষয়ে লিখিত ক্ষমা দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তাররা। যেভাবে প্রক্রিয়া হয় তা যাতে করা হয় সেই কথাও জানিয়েছেন তাঁরা। আর এরপরেই নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে আরজি করের। একটা দাবি, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ঘটনার পর থেকেই আরজি করে জরুরি বিভাগের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পড়ুয়ারা। একাধিক দাবিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। যেখানে আরজি করের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিও জানানো হয়। এমনকি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানানো হয়। কার্যত চাপ বাড়ছিল। এই অবস্থায় ইস্তফা দিলেন সন্দীপ ঘোষ।
সোমবার সকালে সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানান তিনি। একই সঙ্গে অধ্যক্ষ জানান, গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবাদ পত্রে যেভাবে প্রচার হয়েছে, তাতে আমি ও আমার পরিবার, সন্তান মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে গিয়েছে। কটুক্তির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। বাবা হিসাবে আমি লজ্জিত। তাই আমি পদত্যাগ করলাম।
শুধু তাই নয়, আমার মুখে কথা বসিয়ে রাজনীতির খেলা চলছে বলেও এদিন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন সন্দীপ ঘোষ। পুরো ঘটনার জন্য বিরোধী গোষ্ঠী দায়ী বলেও এদিন মন্তব্য করেন। তবে এমন খেলায় কোনওদিনই যুক্ত নন বলেও মন্তব্য করেন পদত্যাগী প্রিন্সিপাল। তাঁর দাব, আমি একজন সাধারণ সরকারি কর্মচারী। ছাত্রছাত্রী এবং বাংলার মানুষের দাবি মেনেই এই পদত্যাগ বলেও জানিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ।
বলে রাখা প্রয়োজন, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রবিবার সরিয়ে দেওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালের সুপারকে। সঞ্জয় বশিষ্ঠ ছিলেন সুপার। তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু তাতে খুশি ছিলেন না হাসপাতালের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা প্রিন্সিপালকে কেন সরানো হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল।