কলকাতা

জারি রয়েছে কর্মবিরতি, CCTV ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি আন্দোলনকারীদের

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

জারি রয়েছে কর্মবিরতি, CCTV ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি আন্দোলনকারীদের - West Bengal News 24

আজও আরজিকর হাসলাপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের কর্মবিরতি জারি রেখেছেন। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত তাঁরা বৈঠক করেছেন। এবং তাতে বেশ কিছু দাবি দাওয়া পেশ করেছেন তাঁরা। তাঁরা দাবি করেছেন ঘটনার দিনে সেমিনার হলের সামনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করতে হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সিসিটিভি ফুটেজ নাকি পুলিশের পক্ষ থেকে গোপন করা হচ্ছে। সেমিনার রুমে ঘটনার দিন কেবল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ই গিয়েছিল নাকি আরও কেই ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে তাতে একজন মদ্যপ ব্যক্তির পক্ষে সেটা করা সম্ভব নয়। তাই গণধর্ষণের তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই।

গতকাল নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা দাবি করেছেন, গত কয়েক দিন ধরে নাকি নাইট ডিউটি করতে চাইছিলেন তাঁদের মেয়ে। এমনকী তাঁর বিশেষ বন্ধুও জানিয়েছিলেন , মাঝে মধ্যেই নাকি তিনি বলতেন নাইট ডিউটি করব না। কেন তা নিয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি নির্যাতিতা। তার থেকেই গণধর্ষণের জল্পনা বাড়ছিল।

জারি রয়েছে কর্মবিরতি, CCTV ফুটেজ এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনার দাবি আন্দোলনকারীদের - West Bengal News 24

ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের ৭ চিকিৎসককে জেরা করেছে। যাঁদের সঙ্গে ডিনার সেরেছিলেন নির্যাতিতা। চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের এইওডিকেও তলব করে জেরা করা হয়েছে। প্রয়োজনে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও তলব করে জেরা করা হবে বলে জানানো হয়েছে লালবাজারের তরফে। গতকাল আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন। আজ আবার আরও চারজন জুনিয়র ডাক্তারকে তলব করা হয়েছে লালবাজারে। তাঁদের জেরা করে একাধিক তথ্য জানতে চায় তদন্তকারীরা।

এছাড়াও নার্সিং স্টাফ এবং নিরাপত্তারক্ষীদেরও তলব করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে পোস্ট করা নিয়েও ৫ জনকে তলব করা হয়েছে লালবাজারের পক্ষ থেকে। এদিকে কর্মবিরতীতে অনড় রয়েছে হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তার জেরে সমস্যা বাড়ছে হাসপাতালে।

এদিকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ বাড়ছে। সেই হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে বসানো হয়েছে। তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। অধ্যক্ষের ঘরে তালা দিয়ে দিয়েছে তারা। কিছুতেই তাঁকে ঢুকতে দিতে চান না বলে জানিয়েছেন মেডিকেল পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য