রাশিফল ও ভবিষ্যৎ

জানেন কী ? যৌনপল্লীর মাটিই কেন দুর্গাপ্রতিমা নির্মাণে ব্যবহার ?

জানেন কী ? যৌনপল্লীর মাটিই কেন দুর্গাপ্রতিমা নির্মাণে ব্যবহার ? - West Bengal News 24

যৌনপল্লীর মাটি ছাড়া তৈরিই হবে না উমার মূর্তি। বহু যুগ ধরেই চলে আসছে এই নিয়ম। একটা সময় ব্রাহ্মণরা নিজে গিয়ে মন্ত্র পাঠ করে মাতৃ নির্মাণের জন্য নিয়ে আসতেন সেই মাটি। কেন এই প্রথা ? সারাটা বছর যেখানে যাওয়া সমাজের কাছে লজ্জার, দুর্গাপুজোর সময়ে কেন প্রথমে সেখানেই ছুটে যেতে হয় ? আসলে সমগ্র নারী শক্তির প্রতিনিধি দেবী দুর্গা। জাতি, বর্ণ, শ্রেণী নির্বিশেষে সনাতনী শক্তির প্রতীক তিনি। যিনি সমাজের অসুর দমন করেন তিনিই দেবী দুর্গা। তাই অনেকের মতে সকল স্তরের নারী শক্তিকে সম্মান জানাতেই এই প্রথার শুরু হয়েছিল।

পুরাণ মতে ঋষি বিশ্বামিত্র একবার ইন্দ্রত্ব লাভের জন্য কঠোর তপস্যায় মগ্ন ছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্র সেই তপস্যার ভঙ্গের বহু চেষ্টা করেও ধ্যান ভাঙতে পারেননি। শেষে স্বর্গের অপ্সরা মেনকাকে ঋষি বিশ্বামিত্রের ধ্যান ভঙ্গ করতে মর্তে পাঠান দেবরাজ।

আরও পড়ুন :: বাড়িতে বাথরুমের দরজা কখনও বেশি ক্ষণ খুলে রাখতে নেই, কি বলছে জ্যোতিষ শাস্ত্র

পুরাণের এই কাহিনীরও তাৎপর্য রয়েছে বলে মত অনেকেরই। শাস্ত্র মতে , অসুরদলনী দুর্গা আদ্যাশক্তি মহামায়ার অপর রূপ। মহামায়া ৯ রূপে পূজিত হন এই বিশ্বে। এই ৯ রূপ নর্তকী, কাপালিকা, ধোপানী, নাপিতানী, ব্রাহ্মণী, শূদ্রাণী, গোয়ালিনী, মালিনী ও পতিতা।

খেয়াল করে দেখলেই বোঝা যায় এই ৯ রূপ সমাজের নানা জাত, বর্ণের প্রতীক। উচ্চ বর্ণ থেকে নিম্ন বর্ণ সবই রয়েছে এই ৯ রূপে। এঁদের মধ্যে মায়ের নবম রূপ ‘পতিতা’, যৌনপল্লীর মহিলাদেরই প্রতীক। সেই থেকেও এই প্রথার শুরু বলে মনে করেন অনেকে। মনে করা হয় একবার কোনও পুরুষ এই বেশ্যালয়ে গেলে, যৌনকর্মীর বাড়ির দরজায় পুরুষরা নিজেদের সারা জীবনে সঞ্চিত সব পুণ্য বিসর্জন দিয়ে আসে। শাস্ত্র মতে , সে কারণেই বেশ্যালয়ের মাটি হয়ে ওঠে পবিত্র। তাই সেই পবিত্র মাটি দিয়েই গড়া হয় উমাকে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য