বর্তমানে পারাদ্বীপ থেকে ২৬০ কিমি, ধামরা থেকে ২৯০ কিমি এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় দানা। আজ রাত সাড়ে ১১টা থেকে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে ধামরা ও ভিতরকণিকার মাঝে ল্যান্ডফল হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের। ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘দানা’। ওড়িশা-বাংলা উপকূলে জারি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের লাল সতর্কতা।
আরও ভয় বাড়াচ্ছে দানা। আজ রাতেই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। তার আগেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ধামরায়। এই ধামরাতেই ল্যান্ডফল হওয়ার কথা ঘূর্ণিঝড় দানার। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস। সেই বাতাসের বেগ এতটাই বেশি যে সোজাভাবে দাঁড়ানোও অসম্ভব হয়ে উঠছে। প্রকৃতির রুদ্ররূপ দেখা যাচ্ছে ভিতরকণিকাতেও। ধামরা ও ভিতরকণিকায় রয়েছে একাধিক দ্বীপ, যেখানে মানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে মানগ্রোভ অরণ্যের। ঠিক যেমনটা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় সুন্দরবনের মানগ্রোভ অরণ্যের হয়েছিল।
ধামরায় আরও ভয় বাড়াচ্ছে জোয়ার। আজ রাতে যে সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হওয়ার কথা, সেই সময়ে জোয়ার আসে। ইতিমধ্যেই ফুঁসছে সমুদ্র। ফুলেফেঁপে উঠছে সমুদ্রের জল। দ্রুত জলস্তর বাড়ছে। এভাবেই জল বাড়তে থাকলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ধামরা বন্দর লাগোয়া মৎসজীবীদের গ্রাম। তা জলের তলায় ডুবে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই এলাকা খালি করানো হচ্ছে। বাসিন্দাদের ত্রাণকেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পারাদ্বীপে বড় বিপদের আশঙ্কা। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গড়, কুজন, রামনগর, মুসাডিহার মত মহানদী সংলগ্ন গ্রামগুলি। ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সময় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ইতিমধ্যেই পারাদ্বীপ বন্দরের কাজ বন্ধ রয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। বের করে দেওয়া হয়েছে জাহাজ।