প্রকাশ্যে রতন টাটার উইল – উইলে পরিবার ছাড়াও প্রিয় পোষ্য, রাঁধুনি থেকে শেষ বয়সের ছায়াসঙ্গীও
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
প্রয়াত হয়েছেন ভারতের রত্ন , ভারত গৌরব রতন টাটা। তবে তিনি কেন দেশের গর্ব ? সেটা আবারও একবার প্রমাণিত। রতন টাটার মৃত্যুর পর প্রকাশ্যে এল তাঁর উইল। আর তাতেই আরও একবার প্রমাণ হল যে এই জন্যই তিনি সকলের প্রিয়। জানা গিয়েছে, প্রয়াত শিল্পপতি রতন টাটা তাঁর ব্যক্তিগত উইলে পোষ্য টিটোর নাম উল্লেখ করে গিয়েছেন। সম্পত্তির ভাগ দিয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের রাঁধুনি ও পরিচারকদেরও।
মুম্বইয়ের জুহু রোডে দোতলা একটি বাড়ি এবং আলিবাগে ২০০০ স্কোয়ারফুটের একটি বাংলো ছিল রতন টাটার। ব্যাঙ্কে ৩৫০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল তাঁর। ১৬৫ বিলিয়ন ডলারের টাটা গ্রুপে মূল সংস্থা টাটা সন্সের ০.৮৩ শতাংশ অংশীদারিত্বও ছিল রতন টাটার নামে।
রতন টাটার উইল সামনে আসতেই জানা গেল কার জন্য কী রেখে গিয়েছেন তিনি।
পরিবারের মধ্যে নিজের ভাই জিমি টাটার জন্য যেমন সম্পত্তির একটি অংশ লিখে দিয়েছেন রতন টাটা তেমনই দুই সৎ বোন শিরিন ও ডিয়ানার জন্যও সম্পত্তি রেখেছেন। বাকি সম্পত্তি তিনি টাটা ফাউন্ডেশনের নামে করে দিয়েছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রতন টাটার ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
আরও পড়ুন :: ১৫০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব ! কি করেছিলেন রতন টাটা ? জানলে শ্রদ্ধা জানাবেন আপনিও
তিনি যে উইল তৈরি করে গিয়েছেন, তাতে লিখেছেন তাঁর প্রিয় পোষ্য টিটোর যেন যত্নের কোনও অভাব না হয়। রতন টাটার পোষ্য জার্মান শেফার্ডটি যতদিন বাঁচবে, তার সব রকমের সেবা-যত্নের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত , প্রায় ৬ বছর আগে টিটোকে নিজের ঘরে নিয়ে এসেছিলেন রতন টাটা।
উল্লেখ্য , টাটা সন্সে রতন টাটার যে অংশীদারিত্ব ছিল, তা রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা হবে। টাটা গ্রুপের সংস্থাগুলিতেও রতন টাটার যে শেয়ার ছিল, তাও এই ট্রাস্টেই হস্তান্তর করা হবে। রতন টাটার যে ২০-৩০টি লাক্সারি গাড়ি এবং কোলাবায় হালেকাই হাউস ছিল, তার ভবিষ্যৎ এখনও নির্ণয় হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, গাড়িগুলি পুণে মিউজিয়ামে পাঠানো হতে পারে বা নিলাম করে দেওয়া হতো পারে। এই বিষয়ে বম্বে হাইকোর্ট এই সমস্ত সম্পত্তির পর্যালোচনা করবে।
রতন টাটার ছায়াসঙ্গী প্রিয় বন্ধু শান্তনু নাইডুও বাদ পড়েননি উইল থেকে। শান্তনুর স্টার্টআপ ‘গুডফেলোজ’-এ নিজের অংশীদারিত্ব যেমন ছেড়ে দিয়েছেন, তেমনই শান্তনুর বিদেশে পড়তে যাওয়ার খরচও পুরোটাই রতন টাটা নিজের সম্পত্তি থেকে দিয়ে গিয়েছেন। নিজের উইলে সম্পত্তির একটি অংশ লিখে দিয়েছেন তাঁর দীর্ঘ সময়ের রাঁধুনি রজন সাউয়ের নামে। তিন দশক ধরে তাঁর পরিচারক ছিলেন সুব্বিয়া। তাঁর নামও উইলে লিখে গিয়েছেন প্রয়াত রতন টাটা।