মেয়েকে অকালে হারিয়ে মাথার ওপর আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল বাবা মায়ের। মেয়ের উপর হওয়া নিশংস অত্যাচার , খুনের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন হতভাগ্য বাবা-মা। কার কথা বলছি নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। বলছি , আরজি করে নৃশংস অত্যাচারে খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের কথা।
দিকে দিকে যখন তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদে সুবিচারের দাবিতে গর্জে উঠেছে গোটা বাংলা , গর্জে উঠেছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা তেমনি মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের দাবিতে পথ চেয়ে আজ বসে আছেন তাঁরা। মেয়েকে হারিয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তাঁরা।
কিন্তু তাঁরা ইচ্ছাপ্রকাশ করলে কি হবে ? তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী , তাঁর তো ইচ্ছা থাকতে হবে। তিনি তাঁর সফরের মাঝে যদি সময় না দেন তাহলে কি আর করা যাবে ! অভয়া কাণ্ডের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কলকাতায় এসে ১৭ ঘণ্টা ছিলেন। তিনি আসার অনেক আগেই ই-মেল করে তাঁর সাক্ষাৎপ্রার্থী বলে জানান অভয়ার বাবা-মা। কিন্তু তিনি রাজ্যের একাধিক কর্মসূচির পাশাপাশি বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বললেও অভয়ার বাবা-মাকে ১০ মিনিট সময় দেননি।
এমনকী, বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। শুক্রবার সোদপুরে নিজের বাড়িতে দিল্লি গিয়ে দেখা করবেন না, জানানোর পাশাপাশি হতাশা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “এখানে যখন এসেছিলেন, তখনই সাক্ষাৎ হলে ভালো হত। কিছুটা শান্তি পেতাম। মনের জোর বাড়ত।”
উল্লেখ্য , হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্ত হাতে নিয়ে কলকাতা পুলিশের গ্রেপ্তার করা সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র অভিযুক্ত ও ধর্ষণকারী দেখিয়ে ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিটও জমা দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু আন্দোলনকারী ডাক্তারদের ফ্রন্ট এখন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এদিনও নিজের বাড়িতে বসে সিবিআইয়ের প্রতি আস্থা জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।