দেশে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যা ৪৩ থেকে কমিয়ে ২৮-এ নামিয়ে আনা হচ্ছে। মূলধন বাড়ানো ও ব্যাঙ্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে খরচ কমানোর উদ্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রের বড় সিদ্ধান্ত। একত্রিত হয়ে যাচ্ছে একাধিক ব্যাঙ্ক।
গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকে একত্র করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রতি তিনটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে একত্র করে দেওয়া হবে। বিহার, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, রাজস্থানে প্রতি দুটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে একত্র করে দেওয়া হবে।
গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির মালিকানার ৫০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার, ৩৫ শতাংশ স্পনসর ও ১৫ শতাংশ রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন। চলতি বছরের ৩১ মার্চের হিসাব অনুযায়ী, দেশের গ্রামীণ ব্যাঙ্কে ৬.৬ ট্রিলিয়ন জমা পড়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলিকে একত্রীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের ১৫টি গ্রামীণ ব্যাঙ্ককে একীভূত করা হবে।
গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যা ৪৩ থেকে কমিয়ে ২৮ করে দেওয়া হবে। গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলি সাধারণত কৃষক, কৃষিকাজ বা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ঋণ দেয়। তবে প্রযুক্তিগত উন্নতি না হওয়ার কারণে অনেক সময়ই গ্রাহকদের সমস্যায় পড়তে হয়। সেই কারণেই কেন্দ্রের তরফে গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির মার্জার বা একত্রীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে প্রতি রাজ্যে একটি করেই আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।