গত দুদিনে ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়ার ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সমান্তরালভাবে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টারকে। এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এবার ট্যাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পড়ুয়া নিজেই পোর্টালে আপলোড করবে। তথ্য ঠিকমতো আপলোড হল কি না, তা যাচাই করার পথও খোলা থাকছে পড়ুয়াদের সামনে। ট্যাবের টাকা গায়েবের ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা খর্ব করে এমনই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নবান্ন।
নিজেদের অ্যাকাউন্ট নম্বর থেকে শুরু করে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য পুরোটাই আপলোড করার ক্ষমতা থাকবে পড়ুয়াদের হাতে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি দপ্তর ও স্কুল শিক্ষা দপ্তর যৌথভাবে কাজ করবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যের মনোভাব আঁচ করে প্রধান শিক্ষকদের একটু সংগঠন ট্যাবের আপলোড সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে প্রধান শিক্ষকদের অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও তুলতে শুরু করে। এই আবহেই প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা খর্ব করে সরাসরি পড়ুয়াদের হাতেই তথ্য আপলোডের ভার অর্পণ করল নবান্ন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে সোমবারই মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ট্যাব নিয়ে নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, শিক্ষা সচিব ছিলেন। আর ছিলেন পাঁচ জেলার শিক্ষা আধিকারিকরা। কালকের বৈঠকেই মুখ্যসচিব পুলিশ ও শিক্ষা দপ্তরকে বেশ কয়েকদফা নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুলিশকে বলেছিলেন, প্রতিটা কেস ধরে ধরে তদন্ত করে গরমিলের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে দোষীদের। এই ভুল ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষকদের তদন্তের আওতায় আনার কথাও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য , পূর্ব বর্ধমান জেলার ২৭টি স্কুলের মোট ৮৫ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যায়। পুলিশ তদন্তে নেমে মালদহ থেকে হাসান আলিকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, কম্পিউটারে ডিপ্লোমা পাস করেছে হাসান। সে ডেটা-এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করত। উল্লেখ্য, ট্যাব কেলেঙ্কারিতে প্রথম গ্রেপ্তার বর্ধমান জেলা পুলিশের। সোমবার মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকার খুদিটোলা থেকে হাসান আলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।