কোচিং সেন্টারগুলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ করল সরকার। এবার থেকে কোচিং সেন্টারগুলি তাদের বিজ্ঞাপনে পরীক্ষায় পাশ করার বা চাকরি পাওয়ার ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যাবে না টপারদের ছবিও। এই কোচিং সেন্টারে ভর্তি হলেই পরীক্ষায় নিশ্চিতভাবে ফার্স্ট হবে।
মেডিক্যাল থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং- প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাসের গ্যারান্টি দেয় বড় বড় কোচিং সেন্টারগুলি। চাকরির প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও সাফল্যে একই গ্যারান্টি। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে হাজার হাজার টাকা থেকে লাখ টাকাও খরচ করেন অভিভাবকরা, সন্তানদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করার জন্য।
বুধবার কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সেক্রেটারি নিধি খারে বলেন, “আমরা দেখেছি যে কোচিং সেন্টারগুলি বিভিন্ন সময়ে পড়ুয়াদের থেকে অনেক তথ্য লুকোয়। ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। তাই আমরা গাইডলাইন এনেছি যাতে গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসে।” কোচিং সেন্টারের জন্য গাইডলাইনে কী কী বলা হয়েছে ?
কোচিং সেন্টারগুলিকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে যে
• কী কোর্স রয়েছে
• কোর্সের মেয়াদ
• শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা
• কোচিংয়ের ফি কাঠামো
• টাকা ফেরত বা রিফান্ডের পলিসি
• বাছাই করার পদ্ধতি
• চাকরির গ্যারান্টি আদৌ সত্যি কি না
কোর্সে কী কী পড়ানো হবে, গাইডেন্স, স্টাডি প্রোগ্রাম, টিউশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, তাও জানাতে হবে।
গাইডলাইন জারি করার পরই কর্তৃপক্ষের তরফে ৫৪টি কোচিং সেন্টারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে এবং ৫৪.৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেই খবর। সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথারিটি বা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের তরফেই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি ক্রেতা সুরক্ষা হেল্পলাইনে এই সমস্ত কোচিং সেন্টার ও ইন্সটিটিউটগুলির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ আসে। এরপরই কেন্দ্রের তরফে এই পদক্ষেপ।