রাজ্য

ট্যাবের পরে কন্যাশ্রীর টাকা নিয়েও হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা ! ৬ দফা নির্দেশিকা জারি বিকাশ ভবনের

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

ট্যাবের পরে কন্যাশ্রীর টাকা নিয়েও হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা ! ৬ দফা নির্দেশিকা জারি বিকাশ ভবনের - West Bengal News 24

ট্যাবের পরে কন্যাশ্রীর টাকা নিয়েও হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা, সব জেলাকে সতর্ক করে ছয় নির্দেশ বিকাশ ভবনের। গত মঙ্গলবার পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কন্যাশ্রী পোর্টালে জালিয়াত চক্র হানা দিতে পারে বলে রাজ্যকে জানিয়েছে ন্যাশনাল ইনফর্মেটিকস সেন্টার (এনআইসি)। এর ফলে অনেক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে সমস্যা হতে পারে। সেটা রুখে দেওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা-ও এনআইসি রাজ্যকে জানিয়েছে। সেই মতো ছ’দফা নির্দেশ পাঠানো হয়েছে রাজ্যের পক্ষে। জেলাশাসক ছাড়াও সব জেলার সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিরেক্টরকে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

১. যে সব অ্যাকাউন্টে বিপদ হতে পারে সেগুলির পাসওয়ার্ড বদলে নিতে।

২. এর পরে অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজ়ার, প্লাগ-ইন এবং বিভিন্ন সফ্টওয়্যার সর্বশেষ ভার্সনে আপডেট করে নিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

৩. কম্পিউটারে যদি এমন কোনও সফ্টওয়্যার থাকে, যা থেকে বিপদ হতে পারে, তা সরিয়ে ফেলতে হবে।

৪. ফায়রওয়াল সক্রিয় করার পাশাপাশি যথাযথ অ্যান্টি-ম্যালঅয়্যার, অ্যান্টি-র্যা নসমঅয়্যার এবং অ্যান্টি-এক্সপ্লয়েট সফ্টওয়্যার ইনস্টল করার কথা বলা হয়েছে।

৫. কম্পিউটার নিয়মিত স্ক্যান করতে হবে।

৬. ষষ্ঠ নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও ভাবেই কেউ কম্পিউটারে ব্যবহারের পাসওয়ার্ড সহ কোনও ক্রেডেনশিয়াল ওয়েব পেজে সেভ করে রাখবেন না। এই ছয় নির্দেশ পালন করার পরে সেটা জানাতেও বলা হয়েছে। কারণ, রাজ্য সেটা এনআইসিকে জানাবে।

উল্লেখ্য, এক জনের ট্যাবের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়াকে প্রথমে সাধারণ গোলমাল বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে এর নেপথ্যে একটি চক্র রয়েছে। আশঙ্কা , একই ধরনের চক্র অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কন্যাশ্রীর টাকাও হাতানোর চেষ্টা করতে পারে। আর তা জানার পরেই নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর সব জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করেছে। রাজ্য সরকারি স্কুলগুলির একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার সুবিধার্থে ট্যাব কেনার জন্য সরকার ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করেছিল।

এই প্রকল্পের অধীনে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। তরুণের স্বপ্নের থেকেও অনেক বেশি বিস্তৃত কন্যাশ্রী প্রকল্প। তরুণের স্বপ্নে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরই শুধু ট্যাব কেনার টাকা দেওয়া হয়। সেখানে কন্যাশ্রীর টাকা দেওয়া হয় অনেক বেশি ছাত্রীকে। এই প্রকল্পে অর্থ প্রাপকের সংখ্যা তিন কোটিরও বেশি। একটি পোর্টাল থেকেই গোটাটা নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই সেই পোর্টালে কোনও ভাবে জালিয়াতেরা থাবা বসালে বিপদ অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য