খতিয়ে দেখা হবে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎচুক্তি – আদানি বিপাকে পড়তেই চাল বাংলাদেশের
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
৭ নভেম্বরের মধ্যে যাবতীয় বকেয়া পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এবার হাসিনার আমলে হওয়া আদানি গোষ্ঠীর সেই বিদ্যুৎচুক্তি খতিয়ে দেখার কথা জানাল মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। পরিস্থিতির বদল হতে সময় লাগে না। কদিন আগে বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশে বিদ্যুতের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিদ্যুৎ, শক্তি এবং খনিজ সম্পদ দপ্তর বিষয়ক মূল্যায়ন কমিটি ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত চুক্তি খতিয়ে দেখার জন্য আইনি এবং তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগের প্রস্তাব করছে।” বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎচুক্তিগুলির শর্ত খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সেগুলিকে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।
এমনকী চুক্তি বাতিলও করা হতে পারে। আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তির পাশাপাশি আতশকাচের তলায় রয়েছে আরও ছয়টি সংস্থার বাণিজ্য চুক্তিও। এর মধ্যে একটি চিনের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা। বাকি পাঁচটি সংস্থা হাসিনার দল আওয়ামি লিগের ঘনিষ্ঠ বলে একটি সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিদ্যুৎচুক্তি বাতিল করলে বড় বিপদে পড়তে পারে আদানি গোষ্ঠী। মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করার জন্যই ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১২৩৪ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছিল আদানিরা। যদিও সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ বাজারেও বিদ্যৎ বিক্রির অনুমতি দিয়ে আদানি গোষ্ঠীকে বড় লোকসান থেকে মুক্তি দিয়েছে মোদি সরকার। এর মধ্যে ঘুষকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে গৌতম আদানির। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আমেরিকার একটি আদালত।