বাংলাদেশের পড়ুয়াদের পদতলে ভারতের জাতীয় পতাকা! গর্জে উঠলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, জীতু কমলরা
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হওয়া ছবি ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মাটিতে রাখা হয়েছে ভারতের পতাকা। যার উপর দিয়ে নির্দ্ধিধায় হেঁটে চলেছে সেখানকার পড়ুয়ারা। যে পড়শি দেশ আপদে-বিপদে পাশে থেকেছে, তাকেই এহেন অসম্মান!
প্রতিবেশী দেশের মান মর্যাদার প্রতীককে পদতলে রেখে এহেন নির্লজ্জ কর্মকাণ্ডের নিন্দায় সরব এপার বাংলা। প্রসঙ্গত, হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে সংখ্যালঘু নির্যাতন লাগামছাড়া আকার নিয়েছে বাংলাদেশে। এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইউনুস সরকার। ক্ষত-বিক্ষত মন নিয়ে গর্জে উঠলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, জীতু কমলরা। সৃজিতের প্রতিবাদ, ‘ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে।’
পদ্মাপারের পড়ুয়াদের রুচিবোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জীতু। তাঁর কথায়, ‘কূটনীতি-রাজনীতি সারা পৃথিবীব্যাপী চলছে আর চলবে। কিন্তু এই নোংরা রাজনীতির ফাঁদে তোমরা সাধারণ মানুষ কী করে পা দিলে ? সাবধান করি, এই ভয়ঙ্কর খেলায় মেতো না। কোনও এক অশুভ শক্তি চাইছে, তোমার সংস্কৃতি, তোমার আব্রু, তোমার সৌন্দর্য বিনষ্ট করতে। ধ্বংস করতে চাইছে তোমায় সম্পূর্ণভাবে। রুখে দাঁড়াও, জোট বাঁধো বাংলাদেশ। ১৫০ কোটি তোমায় হুমকি দিচ্ছে না। সাবধান করছে। এরপর মারপিট হবে না, শুধু মারই হবে একটা সময়। কারণ এ দেশ আমার দেশ। এ ভারতবর্ষ আমার ভারতবর্ষ। আমি একে যে,তোমার থেকে একটু হলেও বেশি ভালোবাসি।’
জীতু কমল লিখেছেন, ‘এ কী রূপ তোমার! কার সম্বন্ধে এতকাল শুনে এসেছি। কাকে নিয়ে ভেবেছি,আনন্দ পেয়েছি! ভাবতাম, আমার পাশেই আমার বাড়ি। যে দেশের সংস্কৃতি, খাদ্য , বস্ত্র বিপনীর উপমা একসময় সারা বিশ্বব্যাপী বন্দিত হয়েছে, হচ্ছেও বোধ করি। যার জাতীয় সংগীত হাঁ করে শুনি। ক্রিকেট মাঠে নিজের দেশ কোন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলে, পরবর্তীতে মন থেকে তোমাদের সাপোর্ট করে এসেছি। আর আজ কী রূপ তুমি দেখাচ্ছ!’ সেই পোস্টেই জীতুর সংযোজন, বিশ্বাস করো,আজও তোমায় ভালোবাসি। আজও তোমার শাপলা বন,কক্স সমুদ্রতট আমার মনকে মাতিয়ে তোলে।
স্নেহ-ভালোবাসা আজও আছে তোমার প্রতি। বহু কু-কথা, অসম্মান চুপ করে সহ্য করি, নিজের ভাতৃত্ববোধের কথা ভেবে। তুমি তো আমাদেরই অঙ্গ। কিন্তু আজ কী করলে তুমি! এ পতাকা, এ দেশ তোমায় কোনদিন কোনো সাহায্য করেনি ? কোনও দিন তোমার বিপদে পাশে দাঁড়াইনি ? তোমার দেশের কোন শিল্পী, কোন সভ্যকে কোন দিন অসম্মান করেছে ? ঈশ্বর বা আল্লাহ যাই মানো না কেন, কসম খেয়ে বলো দেখি।