রাজ্য

দেশের মধ্যে কেরোসিনের ৬৭% ব্যবহার পশ্চিমবঙ্গে – জ্বালানিতে ‘ভেজাল’ হিসাবে ব্যবহার – অপব্যবহারের অভিযোগ কেন্দ্রের

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

দেশের মধ্যে কেরোসিনের ৬৭% ব্যবহার পশ্চিমবঙ্গে – জ্বালানিতে ‘ভেজাল’ হিসাবে ব্যবহার – অপব্যবহারের অভিযোগ কেন্দ্রের - West Bengal News 24

একটা সময় পর্যন্ত কেরোসিন মূলত ব্যবহার করা হত রান্নার কাজে। এ ছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে আলো জ্বালানোর কাজও মিটত এই জ্বালানিতে। কেন্দ্রের হিসাব বলছে, বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো মোট কেরোসিনের ৬৬.৩৮ বিক্রি হয় পশ্চিমবঙ্গেই! কিন্তু রান্নার গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় গোটা দেশেই কেরোসিনের ব্যবহার কমেছে। অথচ, বাংলায় তা কমার লক্ষণ নেই।

পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে কেন্দ্র ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন অন্য সব রাজ্যের তুলনায় বেশি পাঠিয়েছে বাংলায়। মোট পরিমাণ ৭,০৪,০১৬ কিলোলিটার। যা দেশের মোট কেরোসিনের ৬৬.৩৮ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে বিহার। তারা পেয়েছে ৬.০২ শতাংশ কেরোসিন। ওড়িশা, অসম, মধ্যপ্রদেশ সহ তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ডের কেরোসিন প্রাপ্তির পরিমাণ ২ থেকে ৫% এর মধ্যে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থানের মতো কয়েকটি রাজ্যে এখন এক ফোঁটাও কেরোসিন ব্যবহার হয় না।

কেন্দ্রের অভিযোগ, বাংলায় পেট্রল, ডিজেলের মতো জ্বালানিতে ‘ভেজাল’ হিসাবে কেরোসিন ব্যবহার করা হয়। কেরোসিনের ‘অপব্যবহার’ বন্ধ করার জন্য গত জুন মাসেই পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার রান্না এবং আলো জ্বালানোর জন্যই ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন সরবরাহ করে, যা গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে উপভোক্তাদের দেয় রাজ্য। বিদ্যুৎ সংযোগ বৃদ্ধি এবং তুলনায় বেশি বাড়িতে রান্নার জন্য এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার শুরু হতেই দেশের অন্যান্য রাজ্য একটু একটু করে কেন্দ্রের কাছে কেরোসিনের চাহিদা কমিয়ে দেয়। কিন্তু বাংলায় তা কমেনি।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য