ওপার বাংলা

পুজো হলেও কুলিক নদীর পাড়ে হবে না মিলন মেলা, সংস্কৃতি মুছে দিতে চাইছে বাংলাদেশ প্রশাসন ?

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

পুজো হলেও কুলিক নদীর পাড়ে হবে না মিলন মেলা, সংস্কৃতি মুছে দিতে চাইছে বাংলাদেশ প্রশাসন ? - West Bengal News 24

পুজো হলেও কুলিক নদীর পাড়ে মিলন মেলার আয়োজনের অনুমতি দিল না বাংলাদেশের প্রশাসন। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই মেলাসহ সীমান্তের কাঁটাতার এলাকায় জনগণের সমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। বিজিবির সিও বলছেন, আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের পরিপন্থী এই মিলনমেলা। তাই কয়েক বছর ধরে তা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার তাজিগাঁও সীমান্তে কুলিক নদীর পাড়ে জামর-পাথর কালীপুজো উপলক্ষে এবার হয়নি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দুই বাংলার মিলনমেলা। জানা গিয়েছে, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাংলাদেশের অনেকের আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ভারতীয় অংশে পড়ে। ফলে অনেকেরই যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে তাঁরা উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অলিখিত সম্মতিতে প্রতি বছর এই সীমান্তবর্তী এলাকায় এসে দেখা সাক্ষাৎ করার সুযোগ পান।

হরিপুরের কুলিক নদী পার হয়ে বাংলাদেশের চাঁপাসার ও কোঁচল এবং ভারতের মাকড়হাট ও নারগাঁও সীমান্ত এলাকা থেকে ৩৪৪/৪৫ নম্বর মেইন পিলার সংলগ্ন এলাকার কাঁটাতারের দু’প্রান্তে ভিড় করে দুই বাংলার হাজার হাজার নারী পুরুষ। এতে ওই সীমান্তে এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। এদিন দেখা গেল, রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ। বিজিবির নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার তাজিগাঁও সীমান্তে।

প্রতি বছরই মেলায় এসে বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন। এক ব্যক্তি বলেন, “প্রতিবছরই এই দিনটির জন্য আমরা অপেক্ষা করি। তবে এবার পূজা হলেও মিলনমেলা আর হয়নি। এতে আমরা অনেক মর্মাহত হয়েছি। আশা করছি আগামীতে এ সমস্যার সমাধান হবে। এটি একটি ঐতিহাসিক মেলা। মেলা করতে না দিলেও পূজা করতে সার্বিক সহযোগিতা করেছে প্রশাসন।” সীমান্তবাসীরা জানান, ভারত আর বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী যেসব সাধারণ মানুষ অর্থাভাবে পাসপোর্ট-ভিসা করতে পারেন না, তাঁরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন। এই দিনে তাঁরা আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য