হিন্দি গান গাইতে হবে – বিতর্কের জবাবে মুখ খুললেন ইমন চক্রবর্তী
‘আমি শুধু দু’দিন ধরে সব দেখে গিয়েছি, এবার কিছু কথা একটু বলি…।’ বৃহস্পতিবার রাজারহাটের এক অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের এহেন জোরজুলুমের বিরুদ্ধে কড়া ভাষার প্রতিবাদ করেছিলেন ইমন চক্রবর্তী। সেই প্রেক্ষিতেই আপাতত নেটপাড়ায় চর্চার শিরোনামে গায়িকা।
সিংহভাগ ইমনকে সমর্থন জানালেও নেটদুনিয়ার নীতিপুলিশদের একাংশ আবার তাঁর প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে চর্চা শুরু করেছেন। কটাক্ষের শিকারও হতে হয়েছে গায়িকাকে। বহুজাতিক সংস্থার অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের ভিড় থেকে এহেন ‘অন্যায় আবদার’ শুনেই মারাত্মক চটলেন ইমন। কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করতেও ছাড়লেন না। অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই ইমন চক্রবর্তী বললেন, “জোরের সঙ্গে বলা যে, আমি বাংলা গান শুনব না- এটা অন্য কোনও জায়গা হলে চুলের মুঠি ধরে ক্যাম্পাস থেকে বার করে দিত। বাংলায় থাকছ। বাংলায় রোজগার করছ। বাংলা গান শুনবে না বলছ?” গায়িকার প্রতিবাদের ভাষা নিয়ে নেটপাড়ায় চর্চার অন্ত নেই। “আপনি যখন হিন্দি গান করেন, তার বেলায়?”… অনেকে বলছেন, “হিন্দি গান করতে বলাটা দোষের কিছু নয়।”
গায়িকার সংযোজন, “আমি মহান হওয়ার জন্য এই কথাটা বলিনি। আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ, খেটে খাই। স্টেজে উঠে পারফর্ম করি, বা রেকর্ডিং স্টুডিওতে গিয়ে গান গাই বা স্টুডিওতে শুট করি। সবটা ঘিরেই গান, ওটাই পারি আমি। তাই ওটাই করি… সঙ্গীত আমার কাছে সব, মানে সব। সব ধরনের গান গাওয়ার ইচ্ছে আমার বহুদিনের।
ইমন লিখেছেন, “অনেকে বলছেন আমি নাকি ভোটে দাঁড়ানোর জন্য বলেছি। আমি শুধু দু’দিন ধরে সব দেখেই গিয়েছি, এবার কিছু কথা একটু বলি…।” কিন্তু আমাকে আমার এই জায়গা দিয়েছেন আপামর বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষরা। আমি বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করা একটা মেয়ে। বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারা একটা মেয়ে।
এখানে আমার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন থাকেন। আমার গোটা পৃথিবী এখানে থাকেন। কোথাও কেউ কোনোভাবে আমার ভাষাকে ছোট করে কথা বললে আমি আবার ওই একই কথা বলব, একইভাবে প্রতিবাদ করব। তাতে কেউ যদি ভাবেন যে আমার স্বার্থ এতে চরিতার্থ হচ্ছে তাহলে সেটা তাদের ভাবনা, আমার না। সব ভাষার সমান গুরুত্ব আছে অবশ্যই। আমার মাকে যেমন খারাপ বলার অধিকার কেউ দেয়নি। ঠিক সেইভাবে আমার ভাষাকে ছোট করার অধিকারও কেউ কাউকে দেয়নি।”