স্বাস্থ্য

জ্বর হলেই মুঠো মুঠো প্যারাসিটামল খাচ্ছেন? বেশি খেলেই খারাপ হতে পারে লিভার, কিডনি!

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

জ্বর হলেই মুঠো মুঠো প্যারাসিটামল খাচ্ছেন? বেশি খেলেই খারাপ হতে পারে লিভার, কিডনি! - West Bengal News 24

ডোজ না জেনেই ঘন ঘন খেয়ে ফেলার যে প্রবণতা, তাতেই বিপদ ঘনাচ্ছে। জ্বর হল কি হল না, প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলছেন ? গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা হলেও ভরসা এই সস্তার ব্যথানাশক ওষুধই। ঘরে ঘরেই এটি থাকে। বেশি মাত্রায় প্যারাসিটামল খেয়ে ফেললে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে তা বুঝিয়ে বলেছেন ব্রিটেনের নটিংহাম ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা।

বেশি প্যারাসিটামল খেলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে প্যারাসিটামল খেতে থাকলে ঘন হলুদ রঙের প্রস্রাব, তলপেটে তীব্র যন্ত্রণা— লিভার খারাপ হওয়ার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যাও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকেরা। বিগত কয়েক বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকেরা দাবি করেছেন, প্যারাসিটামল নির্দিষ্ট ডোজ়ে না খেলে বা যখন তখন বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেললে তা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

আরও পড়ুন :: প্রোটিনের ঘাটতি-হজমে সমস্যা? নিয়মিত খান এক মুঠো কালো কিশমিশ, রয়েছে বহুমুখী উপকারিতা!

২০১৬ সালে ‘দ্য ল্যানসেট’ বিজ্ঞানপত্রিকায় প্যারাসিটামল নিয়ে একটি গবেষণার খবর ছাপা হয়েছিল। সেখানে গবেষকেরা বলেছিলেন, প্রায় ৫৮ হাজার মানুষকে নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয় কয়েক বছর ধরে। তাতে দেখা যায়, প্যারাসিটামল কখনওই ব্যথার উপশম করতে পারে না। বর্তমানে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ওয়েইয়া ঝাংও একই কথা বলেছেন। ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সিদের নিয়ে সমীক্ষাটি চালান নটিংহামের গবেষকেরা। তাঁরা দেখেন, কথায় কথায় প্যারাসিটামল খাওয়ার অভ্যাস যাঁদের রয়েছে, তাঁদেরই পরবর্তী সময়ে পেপটিক আলসার ধরা পড়েছে।

এমনকি, কিডনির ক্রনিক রোগেও আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। হার্টের অসুখ ও হাইপারটেনশন ধরা পড়েছে বেশ কয়েক জনের। শরীরের ওজন বুঝে দিনে ৩ থেকে ৪ গ্রামের বেশি প্যারসিটামল খাওয়া কখনওই উচিত নয়। দেহের প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী, ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম ওষুধ খাওয়া যেতে পারে, তার বেশি নয়। গবেষকদের মত, প্যারাসিটামল এমনিতে নিরাপদ ওষুধ। যদি চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দিষ্ট ডোজে খাওয়া হয়, তা হলে উপকার হতে পারে। কিন্তু যদি বেশি ডোজে বিধি না মেনে খাওয়া হয়, তা হলে ক্ষতি হতে পারে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য