বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যেও। তাই কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আরও তৎপর রাজ্য সরকার। গঙ্গাসাগর মেলায় এবার নিরাপত্তা ইসরোর প্রযুক্তি। ইসরোর সাহায্যে স্যাটেলাইট ও জিপিএস ট্র্যাকিং-এর ব্যবস্থা। শুধু তাই নয় আইবি-কেও সতর্ক থাকার নির্দেশ।
এবারের সাগর মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মেলায় আসা ভিন রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ১৫ই জানুয়ারি মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। মেলা প্রাঙ্গণে মোতায়েন রাখা হচ্ছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং সিভিল ডিফেন্সের দলও।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর এবারের মেলায় সব মিলিয়ে প্রায় পনেরো হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুন্দরবন জেলা পুলিশ। মেলা চলাকালীন উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে জলপথে ছোট জাহাজ, হোভারক্রাফ্টে করে নজরদারি চালানো হবে। এছাড়াও মেলা চলাকালীন গঙ্গাসাগরের উপর হেলিকপ্টার, এয়ারক্রাফ্ট এবং ড্রোনের মাধ্যমে উপকূল রক্ষী বাহিনী নজরদারি চালানোর কথা রয়েছে।
বিশেষ করে মেলায় আগত মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে উইনার্স টিমকে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হবে। থাকছে ক্যুইক রেসপন্স টিম। ট্রাফিক ম্যনেজমেন্টের জন্য আলাদা দল থাকবে। থাকবে বোম ডিসপোসাল স্কোয়্যাড। নদীপথেও স্পিডবোট এবং লঞ্চ দিয়ে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন।
সাদা পোশাকের পুলিশও মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নজরদারি বাড়াতে নৌসেনাকে রাজ্যের ড্রোন ব্যবহারের পরমর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গঙ্গাসাগরে আমাদের যে মেগা কন্ট্রোল রুম থাকবে আমাদের ব্যবহার করতে হবে।” ইন্টারনেটের গন্ডগোল বা জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের সমস্যা হলেও যাতে কোনও ভাবে কাজে অসুবিধা না হয় সেই কারণে ইসরোর সাহায্য নেওয়া হয়েছে।”