টাকার লোভে এত নীচে নামতে পারেন কোনও ব্যক্তি? অর্থের লোভে বন্ধুদের তার স্ত্রীকে ধর্ষণের ‘অনুমতি’ দিয়ে রেখেছেন এক ব্যক্তি। সেই ধর্ষণের দৃশ্য আবার বিদেশের মাটিতে বসে দেখতেন স্বামী! এমনই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এক নির্যাতিতা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। নির্যাতিতার অভিযোগ, গত ৩ বছর ধরে এই ঘটনা ঘটছে। এবং তাঁর স্বামীই এই সব কাণ্ডের মূল চক্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে নির্যাতিতার বিয়ে হয়। চার সন্তান রয়েছে তাঁর। স্বামী সৌদি আরবে অটোমোবাইল মেকানিক হিসাবে কর্মরত। প্রথমে সব ঠিক থাকলেও তিন বছর আগে তাঁর স্বামী বাড়ি ফেরার পর শুরু হয় অত্যাচার। তার দুই বন্ধু মহিলাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তাতে আপত্তি তোলেনি অভিযুক্ত স্বামী।
তারপর মহিলার স্বামী সৌদিতে কাজের জায়গায় ফিরে গেলেও বন্ধ হয়নি অত্যাচার। দিনের পর দিন বন্ধুরা লাগাতার মহিলাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নির্যাতনের ভিডিও তৈরি করে। সেই ভিডিও সৌদিতে মহিলার স্বামীকে পাঠিয়ে দেয় তারা। সেখানে বসে সেই ভিডিও দেখে নির্যাতিতার স্বামী। এই সবটাই টাকার বিনিময়ে করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিতা।
নির্যাতিতা বলেছেন, ‘এতদনি ধরে আমি আমার সন্তানদের কথা ভেবে চুপ করে ছিলাম। আমার স্বামী আমাকে বিবাহবিচ্ছেদের ভয় দেখাত।’
সূত্র : আজকাল