প্রসূতি মৃত্যু : মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার সহ ১২ চিকিৎসক সাসপেন্ড
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
প্রসূতি মৃত্যু : মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সুপার সহ ১২ চিকিৎসক সাসপেন্ড। স্বাস্থ্যদপ্তর ও সিআইডির জোড়া তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে তাঁদের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত চলবে। একইসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দরজা পর্যন্ত সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও নির্দেশ, “রোগী দেখতে যখন কোনও ট্রেনিং চিকিৎসক যাবেন, তখন যেন সিনিয়র চিকিৎসক তাঁদের সঙ্গে থাকেন। এটা দেখার জন্য নারায়ণস্বরূপ নিগমকে বলছি। সিনিয়ররা যেন সঙ্গে থাকেন, এইচওডি যেন সঙ্গে থাকেন।” তাঁর আরও সংযোজন, “এই গাফিলতি যারা করেছেন, ডিউটি থাকা সত্ত্বেও যারা ডিউটি করেননি। একজন তো শোনা গিয়েছে ওখানে বসে প্রায় ৩০-৪০ কিমি দূরের বালিচকে গিয়ে অপারেশন করেছেন। আমি চিকিৎসকদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু যেখানে অন্যায় হয় তাহলে আমাকে শত সমালোচনা করলেও আমার কিছু যায় আসে না।”
- ডা. দিলীপ পাল (বেড ইনচার্জ)
- ডা. হিমাদ্রি নায়েক (সিনিয়র ডাক্তার)
- ডা. মহম্মদ আলাউদ্দিন (বিভাগীয় প্রধান)
- ডা. জয়ন্তকুমার রাউত (এমএসভিপি)
- ডা. পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় (সিনিয়র রেসিডেন্ট)
- ডা. মৌমিতা মণ্ডল (পিজিটি পড়ুয়া)
- ডা. ভাগ্যশ্রী (পিজিটি পড়ুয়া)
- ডা. সুশান্ত মণ্ডল (পিজিটি পড়ুয়া)
- ডা. পূজা সাহা (পিজিটি পড়ুয়া)
- ডা. মণীশ কুমার (পিজিটি পড়ুয়া)
- ডা. জাগৃতি ঘোষ (পিজিটি পড়ুয়া)
- ডা. সৌমেন দাস (আরএমও)
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “যাঁদের কাছে মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হয়। যাঁদের হাতে সন্তান জন্মায়, তাঁরা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে মাকে এবং সন্তানকে বাঁচানো যেত।” তাঁর সাফ কথা, “সিনিয়র চিকিৎসকদের কাছে আমার আবেদন, আট ঘন্টার যে ডিউটি অ্যালট করা হয়, অনেকে এই সময় শুধু সই করে চলে আসেন। সরকারি চাকরিও করব আবার একই সময়ে প্রাইভেটে চিকিৎসা করব, এটা হতে পারে না।”