চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবেন কি! শাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতের

দেশে ফিরলেই গ্রেপ্তারির মুখে পড়বেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান। আট বছর আগে বাংলাদেশের এক ব্যাঙ্ক থেকে দেড় কোটি ঋণ নিয়ে তা ফেরত না দেওয়া মামলায় বিপাকে পড়লেন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। ইউনুস জমানায় আরও বিপাকে বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার তথা হাসিনা আমলের আওয়ামি লিগ সাংসদ শাকিব আল হাসান। এবার আর্থিক প্রতারণা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। রবিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই পরোয়ানা জারি করেছে।

এনিয়ে অবশ্য শাকিবের সংস্থা ‘শাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’-এর তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রসঙ্গত , চেক প্রতারণা মামলায় গত ১৫ ডিসেম্বর শাকিব সহ সংস্থার চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তাঁদের সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে ১৯ জানুয়ারি দিনটি ধার্য করে শুনানির জন্য।

আদালতের নির্দেশমতো এদিন ‘শাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’ সংস্থাটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকার বেগম আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন শাকিব আল হাসান ও সংস্থার আরেক কর্ণধার গাজি শাহাগির হোসাইন।

অভিযোগ ২০১৭ সালের। সেবছর বাংলাদেশের একটি ব্যাঙ্ক থেকে দেড় কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল শাকিব আল হাসানের সংস্থা। কিন্তু তারপর সেই ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাঙ্কের নোটিস পাঠানো হয় সংস্থার তৎকালীন চেয়ারম্যান শাকিবকে।

নোটিস পেয়ে সুদ-সহ ঋণ শোধের জন্য ব্যাঙ্কে চেক জমা দেন শাকিব। কিন্তু তাঁর সংস্থার অ্যাকাউন্টে সেই পরিমাণ টাকা না থাকায় চেক বাউন্স করে। এরপরই আইনি পদক্ষেপ নেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। যদিও শাকিব ঘনিষ্ঠদের দাবি , সাকিবকে আওয়ামী লীগ দলের সাংসদ , সেই কারণে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে , এর পিছনে হাত রয়েছে ইউনূস প্রসাশনের।