ভারতই এশিয়ার ভরকেন্দ্র ! চিনা আগ্রাসন রুখতে প্রথম বৈঠকেই বুঝিয়ে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
চিনের বাড়াবাড়িতে লাগাম টানতে ভারতকে আরও কাছে পেতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার ইঙ্গিত অবশ্য মিলেছিল প্রথম দিনই। ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করকে আসন দেওয়া হয়েছিল একেবারে সামনের সারিতে, যা ইতিবাচক সংকেত হিসেবেই দেখছিল কূটনৈতিক মহল। অন্য কেউ নয়, এশিয়ার ভরকেন্দ্র আসলে ভারত। আমেরিকার ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর কার্যত তেমনই ইঙ্গিত দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এবার নয়া সরকারের প্রথম কূটনৈতিক বৈঠকও বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের সঙ্গে করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মারো রুবিও ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে দুই দেশের কূটনৈতিক একাধিক ইস্যু তো বটেই ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এস জয়শঙ্করের দুই সারি পিছনে জায়গা পেয়েছিলেন কোয়াডের দুই সদস্য জাপান, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিরা।
গত বছর জানুয়ারি মাসে কোয়াড বৈঠক হলেও তাতে যোগ দেয়নি আমেরিকা। বরং ভারতকে বাদ দিয়ে তৈরি হয় নয়া সংগঠন ‘স্কোয়াড’। এখানে জায়গা পায় ফিলিপিন্স। এর পর থেকে কোয়াডের অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ে। তবে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে চিনা আগ্রাসন ব্যাপক আকার নেওয়ায় ফের গুরুত্ব বাড়ে কোয়াডের। এমনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
তবে বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে এশিয়ায় মহাদেশে ভারতের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে আমেরিকা। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে দুই দেশের কূটনৈতিক একাধিক ইস্যু তো বটেই ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারতের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। গোটা এশিয়াতে ভারতই যে মুখ্য ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে তা বেশ বুঝতে পারছে আমেরিকা। তাই ক্ষমতায় আসার প্রথম দিন থেকে ভারকে প্রাধান্য দিয়ে তা স্পষ্ট করে দিলেন ট্রাম্প।