সম্পর্ক

সম্পর্কে বয়সের ব্যবধান কত হলে বিচ্ছেদের ঝুঁকি কম?

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

সম্পর্কে বয়সের ব্যবধান কত হলে বিচ্ছেদের ঝুঁকি কম? - West Bengal News 24

সম্পর্কের শুরুটা সবসময়ই আনন্দময়। একে অপরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম এবং পরে বিয়ের দিকে এগোনোর সময়টি আনন্দময় হয়ে উঠে। তবে সেই প্রেম বা সম্পর্কটি ধরে রাখা, বা বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সহজ কাজ নয়। এছাড়া সম্পর্কে বয়স একটি বড় বিষয়।

বয়সের তারতম্যটা সাধারণত কমই শ্রেয় মনে করা হলেও নারী ও পুরুষ উভয়েই প্রেম বা বিয়ের ক্ষেত্রে তাদের চেয়ে ১০-১৫ বছর ছোট বা বড় ব্যক্তিকে বেছে নিতে আগ্রহী। অনেকের ক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধানে সম্পর্ক সুন্দর হয়। আবার কয়েকজনের ক্ষেত্রে তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আমরা হয়তো ধরেই নেই যে বয়সের ব্যবধান আসলে কোনো বিষয় না। কিন্তু নানানভাবে বয়স আমাদের সম্পর্কে প্রভাব রাখে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে, বয়স এবং সম্পর্ক কেমন হবে সেটা নির্ধারণ করে কিছু বিষয়ের উপর।

১. মানসিক পরিপক্কতা
বয়সের সঙ্গে মানসিক পরিপক্কতা আসে। মানুষের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আসে। মাইন্ডপাথের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অ্যাডভাইজার ব্র্যান্ডি পোর্চে বলেন, সময়ের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ে যেটা আমাদের ভাবনায় প্রভাব ফেলে। জীবনের একেক ক্ষেত্রে একেকটি বিষয় অগ্রাধিকার পায়। আর বয়সের সঙ্গে এই অগ্রাধিকারের পার্থক্য দেখা যায়। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অগ্রাধিকারের সঙ্গে মিল থাকা জরুরি। নয়তো এটা পরবর্তী সময়ে সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে পারে।

আরও পড়ুন :: যা করলে সহজেই কাছে আসবে মেয়েরা!

২. সম্পর্ক এবং সন্তান
গবেষণা আরও জানাচ্ছে, বয়সের ফারাক একমাত্র বিচ্ছেদের কারণ নয়। সম্পর্কের টেকসই হওয়ার ক্ষেত্রে আরও অনেক পারিপার্শ্বিক বিষয়ও ভূমিকা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, বিয়ের আগে যদি সন্তানের আগমন ঘটে, তবে সেই সম্পর্ক বেশি স্থায়ী হতে পারে। তবে, গবেষণা বলে যে বিয়ের পর সন্তান জন্ম নেওয়ার পরও অনেক ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ হতে পারে—এতে ৫৯% সম্পর্কের অবস্থা বিচ্ছেদ পর্যন্ত পৌঁছায়।

৩. বয়সের প্রভাব
সম্প্রতি, আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে, যেখানে ৩,০০০ জনের সম্পর্ক নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। এই গবেষণায় বয়সের ফারাক সম্পর্কের স্থায়িত্বে কেমন প্রভাব ফেলে তা বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেই গবেষণায় বলা হয়, ৫ থেকে ৭ বছরের পার্থক্যে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ১৮%। তুলনামূলকভাবে, সমবয়সীদের মধ্যে সম্পর্ক বেশি স্থায়ী হয়।

আবার দুইজনের মাঝে বয়সের ফারাক ১০ বছরের বেশি হলে, সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৩৯%। এতে আরও দেখা গেছে, বয়সের পার্থক্য ছাড়াও,চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও সম্পর্কের টেকসই হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বয়স ২০ বছর হলে এই ক্ষেত্রে, সম্পর্ক ভাঙার সম্ভাবনা ৯৫%। গবেষণায় একে সতর্কতার সাথে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যদি বয়সের ফারাক ১ বছরের হয়, তবে সম্পর্ক ভাঙার ঝুঁকি মাত্র ৩% থাকে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য