চল্লিশ দেশ, দুই শতাধিক বিদেশি প্রতিনিধি – কলকাতায় আয়োজিত মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের বেঙ্গল বিজনেস সামিট
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
বেঙ্গল বিজনেস সামিট – রাজ্য সম্পর্কে আগ্রহ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও কতটা প্রসারিত এদিন তার নমুনাই দেখা গেল ইকো পার্কের গ্লাস হাউসে। বড় খবর হল, দুশোর বেশি বিদেশি প্রতিনিধি। এক বছর পর বিধানসভা নির্বাচন। এই সম্মেলনের সাফল্যই হবে মমতার নির্বাচনী হাতিয়ার। তিনি বলেছেন, “এটা খুব ইউনিক যে এত দেশ অংশ নিতে আসছে। আমি মানুষের চোখ দিয়ে সব কিছু দেখি। সম্মেলন কত বড় হবে মানুষ বলবে। সবাইকে বাংলায় স্বাগত।” অক্টোবরের মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বাণিজ্য সম্মেলনে আসার ঘোষণা করেছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সেরিন টবগে।
সূত্রের খবর, দিল্লির ‘ক্লিয়ারেন্স’মঙ্গলবার অবধি আসেনি। স্বভাবতই মুখ্যমন্ত্রী খুশি নন। যদিও তিনি প্রকাশ্যে এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “উনি নিজেই আসতে চেয়েছেন। এখনই এই নিয়ে কিছু বলব না। আগে দেখি কী হয়। বাংলার পড়শি দেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে আমরা চাই।”
এবার পার্টনার দেশ বেড়ে হয়েছে ২০। বঙ্গে লগ্নির লক্ষে অংশ নিচ্ছে মোট ৪০টি দেশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২৫ জন রাষ্ট্রদূত। বুধবার নিউটাউনে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া এই তথ্যই বুঝিয়ে দিল বড় লগ্নির কতটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে এবার। চা-চক্রে হাজির হয়েছিলেন রাজ্য তথা দেশের নামী শিল্পমহল। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়া, তরুণ ঝুনঝুনওয়ালা, সঞ্জয় বুধিয়া, সঞ্জীব পুরী, প্রসূন মুখোপাধ্যায়, রুদ্র চট্টোপাধায়, রমেশ মিত্তাল, উমেশ চৌধুরীদের পাশাপাশি দেখা গেল বিভিন্ন দূতাবাসের কনসালদের।
মমতার ডাকে বুধবার সকালেই আসছেন দেশের পয়লা নম্বর শিল্পকর্তা মুকেশ আম্বানি। আসছেন সজ্জন জিন্দাল। এদিন দেখা গেল শশব্যস্ত অমিত মিত্র। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে শেষ মুহূর্তেও আলোচনা সেরে নেন। আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সামনে রেখে উদ্বোধন হবে বানিজ্য সম্মেলনের। সিআইআই-এর ও ফিকির ১২০ জন শিল্পকর্তা কলকাতায় আসছেন তাঁদের জাতীয় কর্মসমিতি ও বাণিজ্য সম্মেলনে অংশ নিতে। টাটা, রিলায়েন্স, আইটিসি ছাড়াও জ্যোতি ল্যাব, সানমার গ্রুপ, ভিসুভিয়াস গ্রুপের মতো নানা সংস্থার গন্তব্য বাংলা।