বছরের শুরুতেই কেন্দ্রের তরফে এসেছে দুটি বড় ঘোষণা। একদিকে, পূর্ণাঙ্গ বাজেটে বার্ষিক আয় ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করমুক্তির সুবিধা। অন্যদিকে, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) রেপো রেট কমিয়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট। মাসের শুরুতেই RBI গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রা এই রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান।
স্বাভাবিকভাবেই, রেপো রেট কমানোর পর অনেকেই আশা করেছিলেন, এবার হয়তো EMI-এর বোঝা কিছুটা হলেও হালকা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রেপো রেট কমলেও অনেক গ্রাহকের ঋণের সুদের হারে তেমন কোনও পরিবর্তন আসেনি। কেন এমনটা হচ্ছে?
অর্থনীতিবিদদের মতে, রেপো রেট কমলেই যে সবার জন্য ঋণের সুদের হার কমবে, এমনটা নয়। সাধারণত, ব্যাঙ্ক দুটি পদ্ধতির ভিত্তিতে ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করে—EBLR এবং MCLR।
EBLR (External Benchmark Lending Rate): এই পদ্ধতির সঙ্গে RBI-এর রেপো রেট সরাসরি যুক্ত। ফলে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপো রেট কমালে, এই ধরনের ঋণের সুদের হারও স্বাভাবিকভাবেই কমে।
MCLR (Marginal Cost of Funds Based Lending Rate): এই হার RBI-এর নীতির অধীন হলেও, এটি মূলত ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়ন খরচ এবং কর্পোরেট ঋণ পদ্ধতির সঙ্গে বেশি সম্পর্কিত। ফলে, RBI রেপো রেট কমালেও, ব্যাঙ্ক তাদের MCLR রেট পরিবর্তন নাও করতে পারে। এমনকি, কখনও কখনও ব্যাংক MCLR বাড়িয়েও দিতে পারে, যার ফলে ব্যক্তিগত ঋণের উপর সুদের হার অপরিবর্তিত থাকে বা আরও বেড়ে যায়।
তাই, আপনার ঋণ কোন পদ্ধতির (EBLR না MCLR) আওতায় নেওয়া হয়েছে, তার ওপরই নির্ভর করবে সুদের হারে পরিবর্তন আসবে কি না।