মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেও হোটেল, রিসর্টে বুকিংয়ে সাড়া নেই। একই পরিস্থিতি ডুয়ার্সের। সুদিন ফেরার আশায় নিরুপায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা এখন তাকিয়ে হোলির দিকে। মহাকুম্ভ মেলায় গিয়ে তিন নদীর সঙ্গম স্থলে স্নান করে ‘মোক্ষ’ লাভের টানে বেসামাল দার্জিলিং ও সিকিমের পর্যটন। বেশিরভাগ পর্যটকের গন্তব্য তিন নদীর সঙ্গমে শাহি স্নান।
একদিকে যেমন ১৯ জানুয়ারি কুম্ভ মেলার শুরু থেকে দার্জিলিং অথবা সিকিম ভ্রমণের গাড়ির সংখ্যা কমেছে। অন্যদিকে পর্যটক সংখ্যাও উদ্বেগজনক হারে কমেছে। শুধু তাই নয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলেও হোটেল, হোম স্টে, রিসর্ট অগ্রিম বুকিংয়েও সাড়া মিলছে না।
পরপর মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, তারপরও কুম্ভযাত্রায় এতটুকু ভাটার টান নেই। উলটে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন অথবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সিকিম কিংবা দার্জিলিংয়ে যাওয়ার ছোট গাড়ি মিলছে না। কারণ, বেশিরভাগের গন্তব্য হয়েছে মহাকুম্ভ।
দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং পাহাড়ে সাড়ে তিনশো হোটেল রয়েছে। কালিম্পংয়ে দুশো। প্রতিটি হোটেল কার্যত ফাঁকা। হাতে গোনা কিছু পর্যটক পাহাড়ে আছেন। দার্জিলিং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় খান্না বলেন, “আমরা এসময় মার্চ মাসের জন্য দিল্লি, মুম্বই, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, বিহারের পর্যটকদের অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য ফোন পেয়ে থাকি। এবার সেটা নেই বললে চলে।”