ভারত আমেরিকা থেকে যেমন বহু পণ্য আমদানি করে, তেমনই চাল থেকে হিরের মতো বহু জিনিস রফতানিও করে। ট্রাম্পের শুল্কের খাঁড়ায় এবার ভারতীয় পণ্যের দাম বাড়তে চলেছে।
১. জেনেরিক ওষুধ – ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা সস্তা ওষুধের উপর শুল্কের প্রভাব পড়তে পারে।
২. সফটওয়্যার পরিষেবা – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করা ভারতীয় আইটি কোম্পানিগুলির (টিসিএস, ইনফোসিস, উইপ্রো) জন্য ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে।
৩. হিরে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি হিরে রফতানি করে ভারত। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মুক্তা: ভারতীয় মুক্তার দাম বাড়তে পারে আমেরিকায়।
সোনা ও রুপোর গয়না: ভারতীয় গয়না ব্র্যান্ডগুলির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা করা কঠিন হতে পারে কারণ আমেরিকায় রফতানি করতে খরচা বাড়বে।
৪. ডেটা পরিষেবা: ভারতীয় ডেটা প্রক্রিয়াকরণ এবং ক্লাউড পরিষেবাগুলিও প্রভাবিত হতে পারে।
বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যাটারি: ভারতীয় ইভি ব্যাটারির রফতানি প্রভাবিত হতে পারে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে।
গাড়ির যন্ত্রাংশ: আমেরিকায় ভারতীয় গাড়ির যন্ত্রাংশের দাম বেড়ে যেতে পারে, যার ফলে ভারতীয় কোম্পানিগুলির ক্ষতি হবে।
৫. শাড়ি এবং পোশাক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শাড়ি এবং কুর্তার প্রচুর চাহিদা রয়েছে, তবে শুল্ক বাড়লে তার দাম বাড়তে পারে।
তাঁত পণ্য: ভারতীয় খাদি, সিল্ক এবং বেনারসি কাপড়ের দাম বাড়তে পারে।
আমেরিকার থেকে ভারত যে পরিমাণ শুল্ক নেয়, এবার আমেরিকাও ভারতের উপরে সম পরিমাণ শুল্ক চাপাতে চলেছে। আগামী ২ এপ্রিল থেকেই ভারতের উপরে এই শুল্ক চাপতে চলেছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি শিল্প ধাক্কা খেতে পারে। বাড়তে পারে বহু পণ্যের দাম।।